রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সামনে হরতাল চলাকালে অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলে, ইভিএম ভোট ডাকাতির একটা যন্ত্র।
তিনি বলেন, সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা যদি মনে করে এভাবেই দেশ চলবে সেটা কোনো দিন চলতে পারে না। ন্যায়ের জয় হবে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। সরকারের চলে যাওয়াটা কেমন হবে সেটাই দেখার বিষয়।
রিজভী বলেন, আগেও আমি বলেছি অন্যায় করে, বেআইনি কাজ করে, মানুষের ওপর জুলুম করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। এরা টিকে থাকতে পারবে না।
জাতীয় নির্বাচনের পরে হরতাল দেননি, এখন কেন দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, কারণ একটাই- মানুষের কাছে সরকার হরতাল সম্পর্কে নানাভাবে বিকৃত তথ্য দিয়েছে। এখন হরতাল দিয়েছি এজন্য যে- মানুষের কাছে এটাই প্রমাণ করা যে হরতাল কোনো বিধ্বংসী অথবা জঙ্গি কর্মসূচি নয়। যুগে যুগে গণতান্ত্রিকামী-স্বাধীনতাকামী মানুষেরাই হরতাল দিয়েছে। মহাত্মা গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা হরতাল দিয়েছেন। হরতাল হচ্ছে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের একটা ভাষা। সেই ভাষাটাই আমরা প্রয়োগ করছি। কিন্তু নানা সময়ে সরকার সাবোট্যাজ করে এটাকে নানা ধরনের অপব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, এ উপলব্ধিটা মানুষের মধ্যে এসেছে। তখন দেইনি বলে এখন দেওয়া যাবে না এমনতো কোনো কথা নেই। অন্যায়, অবিচার, জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পরিমাণ এত বেশি হয়ে গেছে যে এখন আমাদের তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে হবে। সেই আন্দোলনেরই একটা ধাপ হচ্ছে হরতাল।
হরতাল কেমন চলছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারদিকে গাড়িঘোড়া চলছে না। দোকানপাট বন্ধ আছে। জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে। জনগণ আমাদের ডাকা হরতালে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। এটাই আমাদের পাওয়া।
এসময় রিজভীর পাশে ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, নিপুন রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ ১৫/২০ জন নেতাকর্মী।
তারা হরতালের পক্ষে নানা রকম স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এসময় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অন্যদিনের তুলনায় কমসংখ্যক গাড়ি চলতে দেখা যায়।
এছাড়া সকাল থেকে বিএনপি অফিসের সামনে সারিবদ্ধভাবে বেশ কিছু পুলিশ দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এমএইচ/এসএইচ