তিনি বলেন, বিএনপির ডাকা আনাকাঙ্ক্ষিত হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। হরতালের নামে বিএনপি প্রহসনের নাটক করছে।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ১৪ দলের জরুরি সভা শেষে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নাসিম।
ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয়কে গণতন্ত্রের বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মুজিববর্ষের শুরুতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির এই বিজয় অত্যন্ত তাৎপর্য্যপূর্ণ। এই বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়, এই বিজয় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিজয়। নতুন মেয়ররা খুবই যোগ্য। তাদের ইশতেহার বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। নির্বাচনের আগে পরিচ্ছন্ন ঢাকা, মশামুক্ত ঢাকা গড়ার যে প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছিলেন আমরা আশা করি তারা তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন। তারা যে কথা দিয়েছেন, তাদের কথা রাখবেন।
নাসিম বলেন, বিএনপির নেতারা অনেক হুঙ্কার আর আওয়াজ দিলেও তাদের মাঠে পাওয়া যায়নি। সময়মতো তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা বিস্মিত হয়েছি, ভোটের লড়াইয়ে ডাকসাইটে নেতাদের মাঠে পাওয়া যায়নি। বিএনপির দুই প্রার্থী একাই লড়ে গেছেন। সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়েছে। নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। বিএনপির নির্বাচন বিরোধী চরিত্রের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তারা ভোটারদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করেছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাতীয় পার্টি জেপির মহাসচিব শেখ সহিদুল ইসলাম, তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণআজাদী লীগের সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম-আহবায়ক আসীত বরণ রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এসকে/জেডএস