ঢাকা: বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে চিকিৎসার নমুনা কোনো দেশের কোথাও নেই।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি এদেশের মানুষকে ভালোবাসে না। বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী সব শক্তি একটা সমিতির মতো। এরা কেউ মুসলিম লীগ করে, কেউ জামায়াত, কেউ বিএনপি করে। বিএনপি যাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। দুই একজন হয়তো না বুঝতে পেরে বিএনপি করে।
তিনি বলেন, বিএনপির চিন্তা-ভাবনা এখনো পাকিস্তানের। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করে চলেছে। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে এটা মামা বাড়ির আবদার। বাংলাদেশে আরও চার হাজার কয়েদি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেলখানায় অসুস্থ আছে। ওনাকে একাই বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠালে অন্যরা কেন বসে থাকবে। তাদেরও পাঠাতে হবে না? কোনো দেশে নমুনা আছে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। আমাদের দেশে এখন অত্যন্ত উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজও আমরা পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকতাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এ বাংলার কিছু মীর জাফর, কুচক্রী মহল, পাকিস্তানের পরাজিত শক্তি, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।
স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হল ঐক্য। স্বাধীনতাবিরোধীরা ঐক্যবদ্ধভাবে এ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্র আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। তবে আমি এটাও বলতে চাই এখন ১৯৭৫ সাল নয়, এটা ২০২২ সাল। সেদিন বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতে পারেননি যে, তাকে কেউ মারতে পারে। পাকিস্তানিরা তাকে মারতে পারেনি, কোনো বাঙালি তাকে মারতে পারে তিনি এটা কীভাবে বিশ্বাস করবেন। কিন্তু আমরা এখন বুঝি এ বাংলায় যেমন মীর জাফর আছেন, তেমনি সূর্যসেন প্রীতিলতা বঙ্গবন্ধুও আছেন। সবাই এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
আরকেআর/আরবি