ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘লবিস্টের পেছনে ৪০ লাখ ডলারেরও বেশি খরচ করেছে বিএনপি-জামায়াত'

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
‘লবিস্টের পেছনে ৪০ লাখ ডলারেরও বেশি খরচ করেছে বিএনপি-জামায়াত'

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে। তারা লবিস্ট নিয়োগে ৪ দশমিক ১৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।

তবে, বিদেশে অনেকেই লবিস্ট নিয়োগ করে। ব্যবসার জন্য ও রাজনৈতিক কারণে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। তবে, অন্য কোনো দেশের বিরোধীদল দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করে না’।  

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে লবিষ্ট ষড়যন্ত্র এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।  

এ সময় ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা বলতে চাই বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগের হিসাব নিকাশ দেখিয়েছে কিনা। এই টাকা কিভাবে বিদেশে পাঠালো। ট্যাক্স দিয়েছে কিনা। এসব আমাদের জানার বিষয়’।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বলেছে, বাংলাদেশে কোনো সহায়তা দেবেন না। ভাসানচর গেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে’।


তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। তারা এখানে অনেক বিনিয়োগ করেছে। এতে আমাদের উন্নয়ন হয়েছে। তবে, এই বিনিয়োগ যেন না করে, সেজন্য লবিং হয়েছে। যারা এসব করেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল চায় না। এটা নিয়ে দেশবাসীর প্রশ্ন করা উচিত’।


ড. মোমেন বলেন, ‘বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের কাছে ১৮টি চিঠি দিয়েছে। এসব চিঠিতে অসত্য প্রচারণা চালানো হয়েছে। এসব মানুষকে এসব জানানো দরকার’।

ড. মোমেন বলেন, ‘র‍্যাবের কারণেই সন্ত্রাস কমেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কাজ করছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে, র‍্যাবের বিরুদ্ধেই এখন ষড়যন্ত্র চলছে’।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লবিস্ট আমাদের দূতাবাস। তারা আমাদের এক নম্বর লবিস্ট। তবে দেশের জন্য নিজের পয়সায় অনেকেই লবিস্টের কাজ করেন। আমিও দেশের জন্য লবিস্টের কাজ করেছি’।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি কত নিচে নামতে পারে তার একটি উদাহরণ দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র শেখ সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবারকে তারা কিডন্যাপ করতে চেয়েছিল। তবে, সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়’।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকটে মশিউর মালেক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।