ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

শেখ হাসিনা হাওরের মানুষের মুখে স্থায়ী হাসি দেখতে চান: উপমন্ত্রী 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২২
শেখ হাসিনা হাওরের মানুষের মুখে স্থায়ী হাসি দেখতে চান: উপমন্ত্রী 

সুনামগঞ্জ: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হাওরের মানুষের মুখে স্থায়ী হাসি দেখতে চান। এ কারণে তিনি হাওরে স্থায়ী প্রকল্প করছেন।

যাতে আর হাওরের মানুষের কান্না দেখতে না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।  

দেশের কৃষিতে হাওরের মানুষের অনেক অবদান রয়েছেন। তিনি হাওরের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করছেন।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত চাপতির হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে নদীভাঙন রক্ষায় বিভিন্ন স্থায়ী প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সারাদেশে নদীভাঙন এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।  

সেখানে স্থায়ী বাঁধ করা হচ্ছে, বাঁধ প্রশস্ত করা হচ্ছে, বনায়নও করা হচ্ছে। যেখানে যা করা প্রয়োজন, তাই করা হচ্ছে। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সব সময় বৃহত্তর সিলেটকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।  

তাই সিলেট বিভাগের জন্য করণীয় সব কিছুই তিনি (শেখ হাসিনা) করছেন। হাওরবাসী যেন নির্বিঘ্নে ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।  

উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, এ অঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদেরকে ত্রাণ ও দূর্যোগ  মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মান ঠিক রেখে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে সর্তকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আর কাজের ব্যাপারে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার ৮০ শতাংশ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।  
এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

বাঁধ পরিদর্শনের উপমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশীদ, প্রধান প্রকৌশলী এস.এম শহিদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২২
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।