বরিশাল: আগামী শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
এ উপলক্ষে উদ্যানের একাংশে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে।
সমাবেশস্থলের মাঠসহ আশপাশের রাস্তায় ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড লাগানোর কাজও চলছে পুরোদমে।
কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে কোনো লাভ হবে না, নেতাকর্মীরা এরই মধ্যে বরিশাল শহরে অবস্থান নিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে নেতাকর্মীরা নৌপথে-ট্রলারে ও সড়কে বাইসাইকেলে করে আসবেন, আর তাতেও সমস্যা হলে হেঁটে আসবেন।
বিএনপি নেতারা জানান, সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর মঙ্গলবার তারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করার মধ্য দিয়ে মাঠ প্রস্তুতের কাজ শুরু করেন। বুধবার বিকেল থেকেই সমাবেশস্থলে বিএনপির মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। আর বিএনপি নেতারা উপস্থিত থেকে এসব কাজ দেখভাল করছেন। পাশাপাশি দফায় দফায় সমাবেশস্থলেই করা হচ্ছে প্রস্তুতি সভা। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেলে ও হেঁটে নেতাকর্মীরা যাতায়াত করছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী সোহেল বলেন, বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কোনোভাবেই আটকে রাখতে পারবে না কেউ। আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে হোটেলে হোটেলে অভিযান চালানো হচ্ছে। বাস বন্ধ করা হয়েছে, থ্রি হুইলার বন্ধ করা হয়েছে, শুনেছি সমাবেশের আগের দিন থেকে বন্ধ থাকবে লঞ্চও। আমাদের নেতাকর্মীরা দরকার হলে কলা গাছের ভেলায় ভেসে আসবেন। এরই মধ্যে বরিশালে অবস্থান নিয়েছেন আমাদের নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থলে যে করেই হোক তারা আসবেন, সমাবেশ সফল হবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন বলেন, পরিবহন সেক্টরগুলোর নেতৃস্থানীয়রা সবাই সরকারি দলের পদধারী নেতা। তাদের উদ্দেশ্যই তো বিএনপিকে দমন করা। প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের পথরুদ্ধ করতে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হচ্ছে সমাবেশ বানচাল করতে। তবে কোনো কিছু করেই লাভ হবে না। বর্তামানে আমাদের সমাবেশস্থল প্রস্তুত করা হচ্ছে। মঞ্চ তৈরি থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ আমাদের নেতারা তদারকি করছেন।
যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, শো ডাউন করে বরিশালে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তারা বেপরোয়া হয়ে গেছেন বিএনপির জনসমর্থন দেখে। আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে থাকবেন, যদি হোটেলে থাকতে দেওয়া না হয়। এর মধ্যে অনেকেই অবস্থান নিয়েছে সমাবেশস্থল বেলস পার্কে (বঙ্গবন্ধু উদ্যান)।
বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, সমাবেশস্থলে আসার জন্য পথে পথে বাধা সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। কোনো বাধা আমাদের নেতাকর্মীরা মানবেন না। লাখ লাখ মানুষ সমাবেশস্থলে সমবেত হবেন।
এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো একটি নিয়মিত বিষয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা থাকবেন হোটেলে, সেটা কোনো সমস্যা নয়। আমরা অভিযান চালিয়েছি কোনো চোর, বাটপার বা ছিনতাইকারী হোটেলে আছে কিনা সেই খোঁজ নিতে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২২
এমএস/এসআই