সিলেট: সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যার ১৯ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। যদিও এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ছাত্রদলকর্মীকে আটক দেখানো হয়েছে।
এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাইনুল জাকির বাংলানিউজকে বলেন, কামাল হত্যার রহস্য এখনও উদঘাটন সম্ভব হয়নি। তবে খুনিরা শনাক্ত। আমরা আশাবাদী খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের তথ্য দিতে পারব।
এ ঘটনায় মামলা না হওয়ার খবর নিশ্চিত করে তিনি বলেন, সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহ দাফন-কাফনের পর কিংবা আগামীকাল মামলা দায়ের করা হতে পারে।
দলীয় সূত্র জানায়, সোমবার বাদ আসর নিহতের জানাজা সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দাফন সম্পন্ন করা হবে।
রোববার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে নগরের খাসদবির সংলগ্ন বড়বাজার এলাকায় কামালকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তিনি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা ওসমানী মেডিকেলের সামনে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী নানা স্লোগানে মিছিল বের করে। মিছিলটি রিকাবিবাজার পয়েন্টে এসে কবি নজরুল অডিটরিয়ামে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভাস্থলে ভাঙচুর ও বঙ্গবন্ধুর সাটানো ব্যানার ছিড়ে ফেলে। তারা রাস্তার ওপর মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীও। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ নগরের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়।
নগরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, হঠাৎ কামালের হত্যার খবর শুনে আমরা সবাই মর্মাহত। এরপর মেডিকেলে আসি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম প্রতিবাদ জানানোর এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবির। আজকে সকালে এসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। কিন্তু রাতে আমরা বাসায় যাওয়ার পর কে বা কারা শহরের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। এর সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যারা এসব করেছে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী। তারা দলের কেউ হতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২২
এনইউ/আরবি