বরগুনা: আট বছর পর গত ৩০ অক্টোবর বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কমিটি গঠন ছাড়াই ওই সম্মেলন শেষ হয়।
জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। দিনব্যাপী এই সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পণ্ড হয়ে যায় প্রথম সেশন। সেদিন কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, সম্মেলনকে বিতর্কিত করতেই পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, সম্মেলনের দিন হামলাকারীরা অধিকাংশই পটুয়াখালী জেলার ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ কাদের মিয়া বলেন, জিএম ভাইয়ের মৃত্যুর পর দক্ষতার সঙ্গে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি, মতি আর আমি দলের প্রতিটি কর্মীর সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখি। দলের সঙ্গে আছি, জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত দলের সঙ্গেই থাকবো।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, আমারা তালিকা পেয়েছি, জেলার নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে তার মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন করেলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২২
এসআরএস