ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

২২ অক্টোবর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩
২২ অক্টোবর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন

ঢাকা: ২২ অক্টোবর আলোচিত রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী। একই সঙ্গে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতাকারীদের বক্তব্য তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 
বুধবার বিকেলে বিদ্যুৎভবনে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌফিক ই ইলাহী।

তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা কমিটির লংমার্চের প্রেক্ষিতে মাত্র দুই ঘণ্টার নোটিশে অনেকটা জরুরিভাবেই এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা সুন্দরবনকে ভালোবাসি। প্রধানমন্ত্রীও সুন্দরবনকে ভালোবাসেন। অতএব সুন্দরবনের ক্ষতি হোক এমন কোনো কাজ এ সরকার করবে না।

আবেগের ভিত্তিতে নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

সুন্দরবনেই কেন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনসংখ্যার ঘনত্ব ও কয়লা পরিবহনের বিষয়টি বিবেচনা করে ওই স্থানটি নির্ধারণ করা হয়েছে।

তৌফিক ইলাহী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে বিপুল পরিমাণ কয়লার প্রয়োজন হবে। নদীপথে রামপালে কয়লা বহন সহজ। এ কারণেই রামপালকে বিবেচনা করা হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে উন্নতি প্রযুক্তি সম্পন্ন, এতে পরিবেশ বা সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে এ সময় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জ্বালানি উপদেষ্টা।

নিজ জনগণের প্রতিবাদের মুখে এমন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন থেকে সরে এসেছে ভারত, তাহলে বাংলাদেশে কেন এমন প্রকল্প? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত এমন কোন প্রকল্প বাতিল করেছে কি না আমি জানি না। আর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আমাদের, ভারতের নয়।

সাংবাদিকরা এ সময় উল্লেখ করেন, ছোট্ট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বড়পুকুরিয়াই সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারছে না পিডিবি। সেখানকার ছাইয়ে পার্শ্ববর্তী নদীর পানি পর্যন্ত দূষিত হয়ে পড়েছে। এমনকি ওই নদীর পানি ব্যবহার করে চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা। সেখানে রামপালে এতবড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আশংকা উঠতেই পারে।
 
এ প্রসঙ্গে তৌফিক ই-ইলাহী বলেন, বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি করেছিলো বিএনপি সরকার। এটি কোন প্রযুক্তিই নয়। যে কারণে সমস্যা হচ্ছে। আর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। সে কারণে রামপালে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সমালোচনাকারীরা যুক্তি ছাড়াই কথা বলছেন উল্লেখ করে তৌফিক ই – ইলাহী এ সময় যুক্তির সঙ্গে যুক্তির তর্ক হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, লংমার্চকারীদের অভিনন্দন। তাদের এ কর্মসূচি আমাদের জন্য সহায়ক হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩
ইএস/আরআই/এসআরএস/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।