নিউইয়র্ক : বৃহত্তর ওয়াশিংটন এলাকায় নবগঠিত ‘লিবারেশন ওয়ার আর্কাইভ’ এর প্রথম সেমিনার ‘রেমিনিসেন্স অব বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বেথেসডা শহরের ডেভিস কম্যুনিটি সেন্টার অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বক্তা ছিলেন ১৯৭১ সালে ঢাকায় কর্মরত এপি’র সাংবাদিক আর্নল্ড জেইটলিন, মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী এবং স্বাধীনতার পরই গঠিত বাংলাদেশ প্লানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুল ইসলাম।
বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় বক্তা আর দর্শক-শ্রোতাদের অংশ গ্রহণ সেমিনারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল প্রানবন্ত। পুরো সেমিনার জুড়েই আলোচনার প্রতিপাদ্য হয়ে ওঠে- বঙ্গবন্ধু আসলে কি চেয়েছিলেন?
সাংবাদিক আর্নল্ড জেইটলিন ১৯৭১ সালের ঢাকায় অবস্থানকালে তার অভিজ্ঞতাসহ সেই সময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার বিভিন্ন আলোচনার শেষ পর্যায়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘গত চল্লিশ বছর ধরে আমি একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছি- ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু আসলে কি চেয়েছিলেন?’
সাংবাদিক আর্নল্ড জেইটলিন-এর বক্তব্যের সূত্র ধরে বাংলাদেশ প্লানিং কমিশনের প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুল ইসলাম জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর দেয়া ১৯৬৬ সালের ৬দফা আন্দোলেনর ওপর আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন তার প্রদত্ত ৬ দফা দাবীর পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং এই ৬ দফার মধ্যেই রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরোক্ষ ঘোষণা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার কি গুরুত্ব কিংবা এই ৬ দফা বাস্তবায়িত হলে তৎকালীন পাকিস্তানে কি ঘটত- তা তৎকালীন পাকিস্তান সরকার খুব ভালভাবেই জানত। তাই বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৬ দফা দাবি ঘোষিত হবার পরপরই পাকিস্তান সরকার এবং পাকিস্তান সামরিক জান্তা ঘোষণা করেছিল, ‘মুজিবের দেয়া ৬ দফা পাকিস্তানে বাস্তবায়িত হবেনা’। আর সেটি বঙ্গবন্ধু খুব ভালভাবেই জানতেন।
সেমিনারে ড. নুরুন্নবী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ এবং এই মুক্তিযুদ্ধে তার সম্মুখসারিতে অংশ গ্রহণের নানাদিক বর্ণনা করে বিশ্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কিভাবে দেখেছিলেন তার ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
সেমিনারের মডারেটর ছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক আনিস আহমেদ এবং বাংলাদেশ লিবারেশন আর্কাইভ-এর শামীম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১২
এলএ,
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর