ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিতে কুয়েতে প্রবেশের সময় বাংলাদেশি প্রবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশটির বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকসহ অনেক প্রবাসী ছুটিতে বাংলাদেশে যান।
তবে ডিজিটাল পাসপোর্ট না থাকার কারণে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে গুজব ছড়ালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসে মেশিন রিড্যাবল (ডিজিটাল) পাসপোর্ট করার জন্য ভিড় জমায়। এসংক্রান্ত একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ সম্প্রচার করলে ভিড় আরও বেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট করার ব্যাপারটা আদৌ সত্য নয়। গত ২৯ এপ্রিল কুয়েতের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে ২৬ জন (১ মে আরব টাইমসে প্রকাশিত) বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। এছাড়া কুয়েত বিমানবন্দর থেকে গত ৬ মে আরও ১২ জনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩৬ জনের মধ্যে কেউ নেপালি পাসপোর্ট বহন করছিলেন, কারো পাসপোর্টে দাগ ও পাসপোর্টের পাতা সংকুচিত হয়ে গেছিল।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টা করেও যাত্রীদের ফেরত যাওয়া ঠেকানো সম্ভব হয়নি। দূতাবাস অফিসের সামনে টানানো ব্যানারে লেখা রয়েছে, পাসপোর্ট ও বৈধ ইকামা থাকলে কোনো সমস্যা হওয়ার কারণ নেই।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা দূতবাসের সামনে ভিড় জমায়। এটা সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ দূতাবাসের সামনে কুয়েতি সেনাবাহিনী মোতায়েন করে।
গত ৬ মে প্রবাসী বাংলাদেশি বাশার জানান, বাংলাদেশ বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তা ট্রাভেলস এজেন্সির যোগসাজশে নেপালি পাসপোর্টের মাধ্যমে যাত্রী পাঠায় এই কারণে কুয়েত বিমানবন্দরে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
লেখক: কুয়েত প্রবাসী, [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১২
সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর