নিউইয়র্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলীয় জোটের ৩৩ নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিএনপি ও ৩৪ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন বিক্ষোভ করেছে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে বুধবার এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ।
প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ৩৪ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক বেলাল মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক নেতা ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার, ড. শওকত আলী, জসিমউদ্দিন ভূইয়া, নূর মোহাম্মদ, জহিরুল ইসলাম মোল্লা, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, মো. আতিকুর রহমান, ডা. গুলজার হোসেন, তোফায়েল লিটন চৌধুরী, জাকির এইচ চৌধুরী, প্রফেসর আব্দুল মতিন, এমএ খালেক আকন্দ, ওয়াহেদ আলী মন্ডল, বদরুল হক আজাদ, গোলাম হোসেন, সেলিম রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শওকত মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে এখন দূঃশাসন চলছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে এ সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। জনগণের মৌলিক অধিকার হনন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাজনীতিবিদদের গণগ্রেফতার করে নির্যাতন ও হত্যার ষড়যন্ত্রে এ সরকার লিপ্ত।
তিনি ১৮ দলীয় জোটের সব নেতাদের মুক্তি দেওয়ার জন্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বেলাল মাহমুদ ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আগামী ২১ মে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উদ্যোগে হোয়াইট হাউসের সামনে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও সব স্টেটের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, নাসির উদ্দিন শরিফ, আবু সুফিয়ান, দেওয়ান কাউছার, নাসিম আহমেদ, তৌফিক মিয়া, মোস্তাক আহমেদ, আ. কাদের, ইসরাত জাহান খান, নীরা রাব্বানী, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, আরিফুল ইসলাম, বদন বড়ুয়া, আক্তানূর হোসেন মঞ্জু, জিলান আহমেদ, নাসির আহমেদ, মাহবুবুল আলমগীর, আ. বাতেন মেমবার, ইকবাল আনসারী, নিয়াজ মোর্শেদ, আবুল হোসেন মেমবআর, মো. সাইফুল, মো. হাসান, মাস্টার মাইনুদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদ হোসেন, মো. জামান, হাফিজুল রহমান রাজু, ইসলাম হোসেন রুনু, আল মমিন, জগলুল খান মাহবুব প্রমুখ।
অপরদিকে, স্টেট ডিপার্টমেন্টে কেন্দ্রীয় বিএনপির টিঠি হস্তান্তর করেন শরাফত হোসেন বাবু। গ্রেটার ওয়াশিংটন বিএনপিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৭টি অঙ্গ রাজ্যেও কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবীতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও গ্রেটার ওয়াশিংটন বিএনপির সভাপতি সরাফত হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে ওয়াশিংটন বিএনপির সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব লিয়াকত আলী খান, তোফায়েল আহমেদ, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, তাজ উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, আবুল ফজল মানু, মো. ইসলাম, নিজাম আহমেদ, বশির আহমেদ ও মো. শামিম।
এছাড়া ক্যানসাসের রেজাউল হক ও আজাদ হোসেন, জর্জিয়ার মো. আনোয়ার তুহিন, ফ্লোরিডার দিনাজ খান, টেক্সাসের সাইদুর রহমান সাইদ, পেনসিলভেনিয়ার মো. রুহেল, শিকাগোতে মো. মোজাম্মেল হক, নিউজার্সিতে শের সেনিয়াবাতের নের্তৃত্বে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর