ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা যৌথ উদ্যোগে কলম্বোয় মাতৃভাষা দিবস পালন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা যৌথ উদ্যোগে কলম্বোয় মাতৃভাষা দিবস পালন

ঢাকা: কলম্বোয় বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং শ্রীলঙ্কা সরকারের দাপ্তরিক ভাষা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

এ উপলক্ষে দাপ্তরিক ভাষা অধিদপ্তর মিলনায়তনে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রীলঙ্কার জাতীয় সহ-অবস্থান, সংলাপ ও দাপ্তরিক ভাষা বিষয়ক মন্ত্রী মানো গানেষাণ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রফেসর ইমেরিটাস জে বি দিসানায়াকা ও প্রফেসর এস যে যোগারাজাহ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দাপ্তরিক ভাষা সহকারী কমিশনার সানোজি পেরেরা, আর ধন্যবাদসূচক বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর মালেকা পারভীন।

এতে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের সদস্য, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান, উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল দিবসের তাৎপর্যের ওপর আলোচনা, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটিসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং দিবসটি উপলক্ষে একটি স্মরণিকা বিতরণ। স্মরণিকায় মন্ত্রী মানো গানেষাণ ও হাইকমিশনার তারিক আহসানের বাণী স্থান পায়।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার তারিক আহসানের হাতে একটি শুভেচ্ছা ফলক (প্লাক) তুলে দেন মন্ত্রী মানো গানেষাণ।

আলোচকরা ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে ভাষাকে আরও সুসংগঠিত ও ব্যবহারবান্ধব করার জন্য কিছু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মানো গানেষাণ বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আদর্শের সঙ্গে সংগতি রেখে জাতীয় সম্প্রীতি ও শান্তি সুসংহত করার লক্ষ্যে শ্রীলংকায় একটি ত্রি-ভাষী সমাজ প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক নির্দেশনাকে বাস্তবায়নের উদ্দেশে আমাদের মন্ত্রণালয় বিশেষ প্রচেষ্টায় নিয়োজিত।

তারিক আহসান তার বক্তৃতায় মাতৃভাষার প্রতি বাঙালির অসাধারণ ভালবাসার আবেদন কীভাবে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার পেছনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে তা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে সমকালীন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলয়ায় সকল মাতৃভাষার গৌরবকে সমুন্নত করা এবং তার বিকাশে করণীয় তুলে ধরেন।

এর আগে, হাইকমিশনের চানসারি প্রাঙ্গণে প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন তারিক আহসান। এরপর ভাষাশহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ উপলক্ষে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় সেখানে।


বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।