কাতার: কাতারে বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা বর্ষবরণ বৈশাখী উৎসব।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) আবু হামুর বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিকেল ৪টা শুরু হয় বাংলা নববর্ষ উৎসব ১৪২৩ সাংস্কৃতিক ও বৈশাখী মেলা ।
কাতার বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক গোলাম ফারুক সিদ্দিকের সঞ্চালনায় বর্ষবরণ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ।
শুরুতে বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ দূতাবাস অফিসারদের কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো ও ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা, তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা, ওসে স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সেদেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা, এই দুইটি দারুণ গানে শুরু হয় উৎসব।
শুরুতে এক যে ছিল রাজার কুমার তার ছিল এক রানী গানটির সুরে নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রী শ্রীপর্ণা ও আইরিন।
‘কিনে দে কিনে দে রেশমি চুড়ি, নইলে যাবো বাপের বাড়ি, দিবি বলে কাল কাটালি জানি তোর জারিজুরি’ এই গানে নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন ছাত্রী তানিয়া, জুবেয়েদা ও আঞ্জু।
এরপর গান নিয়ে আসেন স্থানীয় ব্যান্ড দল শ্রবণ, শ্রবণ ব্যান্ডের দুই শিল্পী সাইফুল ও সাজু মেলায় যাইরে...মেলায় যাইরে...মেলায় যাইরে...মেলায় যাইরে বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা হেঁটে যায় মেলায় যাইরে...মেলায় যাইরে...মেলায় যাইরে...মেলায় যাইরে বখাটে ছেলের ভিড়ে ললনাদের রেহাই নাই, উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন।
অনুষ্ঠানে আরও সংগীত পরিবেশন করেন রিদিতা, অদিতি সরকার, কানিজ ফাতেমা চিন্তিয়া, রাজ্জাক, শাকের প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও নৃত্য পরিবেশন করেন ফারজানা শারমিন, নুসরাত, নাফিসা, মাকসুদা, ইসরাত জাহান, নিবেদিতা, শাহনাজ, সাবিনা, কামরুন, তানজিলা, তানিয়া, রওনক, তানজিনা, আঙ্গেলিন ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের রুজিনা আক্তার।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কাতার বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক জুলফিকার আজাদ।
অনুষ্ঠানে আরও গান পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন স্থানীয় ব্যান্ড দল অতঃপর ও চিরন্ত বাউল সংঘ ।
স্থানীয় ব্যান্ড দল অতঃপর, ‘আমার বাংলাদেশের একতারার সুর কতোই ভালোবাসি ও বেশ বেশ বেশ সাবাস বাংলাদেশ যাও এগিয়ে আমার বাংলাদেশ’ গান দুইটি পরিবেশন করে প্রবাসের বৈশাখী উৎসব কে উৎসবে পরিণিত করে।
বৈশাখী উৎসব মেলায় ছিল অনেক গুলু স্টল, বিভিন্ন স্টলে ছিল পান্তা-ইলিশ, পিঠাপুলি সহ বিভিন্ন মজাদার খাবার। যেসব স্টল মেলায় অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- চাঁদপুর সমিতি, প্রাণ ফুড, ইনভাইট ফুড, বৈশাখী স্টল, বৈশাখী হাওয়া, গ্লোব সফট ড্রংস, গৃহীনি স্টল, বাংলাদেশ দূতাবাস স্টল প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ তার এক মিনিটের বক্তব্য কাতার প্রবাসী সকলকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কাতার বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. মোস্তফা, শ্রম কাউন্সিলর ড. সিরাজুল ইসলাম, কাউন্সিলর কাজী জাবেদ ইকবাল, শ্রম প্রথম সচিব রবিউল ইসলাম, দ্বিতীয় সচিব নাজমুল হক, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ গনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৬
পিসি