টোকিও (জাপান) থেকে: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র জাপানের রাজধানী টোকিও। তখন স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ মে) রাত আটটা ১০ মিনিট।
ভূমিকম্প আর সুনামির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত জাপানে প্রথম সফরে এসেই বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধিদলটি ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা পেলেন।
যে বিষয়টি আমাদের দৃষ্টি কেড়েছে, বাংলাদেশে মানুষ ভূমিকম্পের সময় দৌড়ঝাঁপ শুরু করলেও বিকার নেই জাপানিদের। তারা স্বাভাবিক কাজই করে যান কম্পনের সময়ও। না খোলা জায়গায় বা বাড়ির বাইরে যাওয়ার তাড়া নেই তাদের। রাস্তায়ও দেখলাম যান চলাচল স্বাভাবিক।
এর আগে স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে অবতরণ করি আমরা। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হওয়ার পর মাঝখানে সিঙ্গাপুর যাত্রাবিরতি ছিলো।
প্রিন্স হোটেল যখন ভূমিকম্পে কাঁপছিলো তখন বাংলাদেশি সাংবাদিকরা পড়িমড়ি করে রুম থেকে বেরিয়ে আসেন লবিতে।
তখনই বিষয়টি বুঝতে পারেন হোটেলের কর্মকর্তারা। তারা ছুটে এলেন আর বলতে লাগলেন ‘ডোন্ট ও’রি’, ‘ডোন্ট ও’রি!’
তাদের আশ্বাসে আশ্বস্ত হলাম আমরা। বাইরে তাকিয়ে দেখলাম, সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছে। পথচারীরা যেমন থমকে দাঁড়াননি ভূমিকম্পে তেমনি গাড়িগুলোও থেমে যায়নি।
সময় সচেতন জাপানিদের হাতে এক সেকেন্ডও নষ্ট করারও যেন ফুরসত নেই। এটাই জাপান, এটাই উদীয়মান সূর্য্যের দেশটির মানুষের নিত্যদিনকার জীবনারণ।
**জাপান সফরে যাচ্ছেন বাংলানিউজের তপন চক্রবর্তী
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬
টিসি/