ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

টোকিও স্কাইট্রি, ফুজি-হাকুনি মাউন্টেনে মুগ্ধ পর্যটক

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৬
টোকিও স্কাইট্রি, ফুজি-হাকুনি মাউন্টেনে মুগ্ধ পর্যটক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

জাপান (টোকিও) থেকে: টোকিও স্কাইট্রি। ৬৩৪ মিটারের আকাশছোঁয়া গাছটি স্থাপত্যবিদ্যার বিস্ময়কর সৃষ্টি।

২০১২ সালে উন্মুক্ত করার পর কত বিলিয়ন পর্যটককে মুগ্ধ করেছে তার হিসেব কে রাখে?

বিদেশি পর্যটকদের মুগ্ধ করার জন্যে দু’টি পর্বতকে সাজিয়েছে জাপান। একটি ফুজি মাউন্টেন, উচ্চতা ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার বা ১২ হাজার ৩৮৮ ফুট।

আরেকটি হ্যাকুনি মাউন্টেন, যার উচ্চতা ১ হাজার ৩২৭ মিটার। যেখানে প্রতিবছর ৫ লাখের বেশি পর্যটক যান অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বাংলাদেশ থেকে আসা সাংবাদিক প্রতিনিধিদল এ তিনটি পর্যটন স্পট পরিদর্শন করেন। ভূমিকম্পের দেশ হিসেবে পরিচিত জাপানের অহংকার বলতে গেলে টোকিও স্কাইট্রি।

যেখান থেকে পুরো টোকিও শহর দেখতে পাবেন আপনি। ছোট ছোট বাড়ি থেকে অলিগলি সবই ধরা পড়বে আপনার বার্ড-আইয়ে। ইট-সুরকি আর লোহালক্কড়ের বাইরে এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে স্বচ্ছ কাচ।

বাংলাদেশের ঢাকা বা চট্টগ্রামে এ ধরনের আইকনিক একটি টাওয়ার থাকলে নিঃসন্দেহে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারতাম আমরা।

জাপানের শতাধিক পর্বতের মধ্যে সর্বোচ্চ ফুজি মাউন্টেন। টোকিও থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থা‍ন।

আমাদের গাইড শিবুইয়া জানালেন, জনশ্রুতি রয়েছে ৩০৮ বছর আগে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এ পর্বতের সৃষ্টি হয়। আগ্নেয়গিরির যে ভয় তা জয় করেছে জাপান। শুধু কী জয়, এটি থেকেই তাদের আয়ের বড় একটি অংশ আসছে।

শিবুইয়া জানালেন, ফুজি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্ভুক্ত। এটি জাপানের সংস্কৃতির অন্যতম প্রতীক, দেশটির ইতিহাস ও ঐতিহ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।  

ফুজি’র মতোই হাকুনি মাউন্টেন নিয়ে গর্ব করতেই পারে জাপান। ক্যাবল কার আর রোপওয়ে ছাড়াও মজার মজার সব আকর্ষণ ছড়িয়ে আছে যেখানে। পর্যটকদের নির্মল আনন্দ দেওয়া আর অবকাশ যাপনের সর্বোত্তম অনুষঙ্গ দিয়ে সাজানো হয়েছে চারপাশ।

জাপান আর বুলেট ট্রেন, অনেকটা সমার্থক। সেই বুলেট ট্রেনে ১০০ কিলোমিটার চড়ার সুযোগ হলো। ওদারোয়ে স্টেশন থেকে আধঘণ্টারও কম সময়ে পৌঁছালাম সিনাগাওয়া স্টেশনে।

প্রায় ২৫০ কিলোমিটার গতি। অবশ্য ভাড়াটাও বেশ, তিন হাজার ইয়েন। বাংলাদেশি টাকায় আড়াই হাজার প্রায়। আপনি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন, অমনি যদি কোনো বুলেট ট্রেন স্টেশন অতিক্রম করে আপন গতিতে তবে আপনি কত বগি ছিল গুণতেই পারবেন না।

**জাপানিরা বলছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা উজ্জ্বল

এত দ্রুত গতির ট্রেন হলেও ভ্রমণ কিন্তু বেশ আরামদায়ক। নেই ‘কু-ঝিক-ঝিক’, ‘ঝম-ঝমা-ঝম’ আওয়াজ। নেই ঝাঁকুনি। ওয়াশরুম থেকে স্মোকিং জোন পর্যন্ত এত হসপিটালিটি যে বাংলাদেশ রেলওয়ে এসব বাস্তবায়ন করতে আরও সময় লাগবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৬
টিসি/

** জাপানিদের উন্নতির মূলমন্ত্র ‘সময় জ্ঞান’
** জাপানে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি

**জাপান কাচ জাদুঘরে কাচের ‘কেরামতি’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।