ফরিদপুরের ঝিলটুলিতে যে মেয়ের জন্ম আর বেড়ে ওঠা, তিনি এখন পরিণত শিল্পীসত্তায় মাতাচ্ছেন ইউরোপ। বাঙালি সংস্কৃতির সংগীত মুখর সব আয়োজনে তার উপস্থিতি অনিবার্য।
নিরলস কাজ করছেন প্রবাসে বাংলার মুখ আর আত্মাকে উপস্থাপনের প্রচেষ্টায়।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পারিবারিক সংযোগের ভিত্তিতে বাঙালি চেতনার মূলধারার ছোঁয়া পেয়েছেন তিনি। আত্মমগ্ন হয়ে সেটার লালন আর চর্চাতেই মনোযোগী তিনি।
বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘ বছর জার্মানির স্টুটগার্ডের বাসিন্দা হলেও বাংলার নদী-নিসর্গের হাতছানিতে এখনও আকুল হন এই বাঙালি নারী।
ঘরোয়া ও কমিউনিটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সুষমার নান্দনিক প্রকাশে থাকেন সামনের কাতারে। শুদ্ধ সঙ্গীত, লোকজ সংস্কৃতি আর বাংলার চিরায়ত গানের ভাণ্ডার উজাড় করে ঢেলে দেন দর্শক-স্রোতাদের।
শুধু স্বদেশীয় লোকজনই নন, বিদেশিরাও আপ্লুত হন কনা ইসলামের মোহনীয় গায়কী আর পরিশীলিত কণ্ঠ মাধুর্যে। নিয়মিত অবদান রাখছেন নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিদের মধ্যে শিল্প-সাহিত্য-সঙ্গীত ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে।
ডাক পেলেই ছুটে যান ইউরোপের এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচারকে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং বরণ করতে স্থানীয় সময় ২২ মে কনা ইসলাম চলে যান অস্ট্রিয়ার সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত রাজধানী ভিয়েনা শহরের গ্রোসফেল্ড সিডলুং-এর এক অভিজাত হলের মিলন মেলায়।
সেখানে ছিলো বিভিন্ন জাতীয় দিবসের উপর আলোচনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক আসর আর পিঠা উৎসব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কে এম জে শামস বাবু। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ কোরেশী আসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়সিম মিয়া বাবুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রবাসীদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠান স্থল।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া সঙ্গীতানুষ্ঠানে গান করেন জার্মান প্রবাসী শিল্পী কনা ইসলাম। তাঁর সঙ্গে থাকেন আরেক জার্মানবাসী বঙ্গ ললনা শিল্পী তাহমিনা ফেরদৌসী। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ফারাহ কবির।
সুইডেন থেকে আসেন শিল্পী জাহাঙ্গীর ইসলাম। নেচে গেয়ে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন শিল্পী আর দর্শকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৬
এমএ/