ঢাকা: স্কটল্যান্ডের এডিনবরা নগরীতে অবস্থিত দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ২০১৬ সালে ১০টি নতুন গ্যালারি উন্মুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের একটি কর্মসূচি স্থান পেয়েছে।
স্কটল্যান্ডের জাতীয় জাদুঘর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘পল্লী ফোন কর্মসূচি’ সম্পর্কে তাদের জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গ্রামীণ টেলিকম জাদুঘরকে এ বিষয়ক কিছু কেইস স্টাডি, নিউজ-লেটার, গাইড বই এবং এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা এমন একজন টেলিফোন লেডির সরঞ্জাম দিয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত নিজের ফোন ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যবহৃত হয় এসব সরঞ্জাম।
গ্রামীণ টেলিকম ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ তার আকর্ষণীয় পল্লী ফোন কর্মসূচিটি শুরু করে। উদ্দেশ্য ছিল অল্প খরচে মোবাইল ফোন সরবরাহের মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের মধ্যকার প্রযুক্তিগত ব্যবধান কমিয়ে আনা। এই কর্মসূচিটি বিশেষভাবে শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জন্য হাতে নেওয়া হয়। স্কটল্যান্ডের জাতীয় জাদুঘর এই কর্মসূচিকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের নারী সদস্যদের জন্য তাদের উদ্যোক্তা দক্ষতা ব্যবহার করে দারিদ্র বিমোচনের একটি অসাধারণ উদ্ভাবনশীল উপায় হিসেবে পল্লী ফোন কর্মসূচি চালু হয়। নির্বাচিত সদস্য, যিনি এলাকায় ‘টেলিফোন লেডি’ হিসেবে পরিচিত, এলাকাবাসীর জন্য বাণিজ্যিক পে’ ফোন হিসেবে এই টেলিফোন ব্যবহার করতে শুরু করেন।
মাত্র ২৪ জন গ্রাহক নিয়ে ১৯৯৭ সালে পল্লী ফোন কর্মসূচি তার যাত্রা শুরু করে। দিনে দিনে ২০১৬ সালের জুনে দেশে এই কর্মসূচির গ্রাহকের সংখ্যা ১৭ লাখ ০৭ হাজার ১৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৬
আইএ