ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

হাফিজকে মরিশাস বাংলাদেশ হাই কমিশনের সম্মাননা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
হাফিজকে মরিশাস বাংলাদেশ হাই কমিশনের সম্মাননা সম্মাননা সনদ গ্রহণ করেন মারিশাসপ্রবাসী মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

প্রবাসীদের সহায়তা ও আর্তমানবতার সেবার জন্য ইয়ং স্টার প্রবাসী কল্যাণ সংঘের সভাপতি মারিশাসপ্রবাসী মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানকে সম্মাননা সনদ দিয়েছে মরিশাসের বাংলাদেশ হাই কমিশন।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানী পোর্ট লুইসে হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ সম্মাননা সনদ তুলে দেন মোহাম্মদ হাফিজকে। এ সময় দূতালয় প্রধান ও কাউন্সিলর (শ্রম) মো. অহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) মো. আনিসুর রহমান, কমিউনিটি নেতা ও প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্র্রদূত বলেন, প্রবাসে সংগ্রামী জীবনের মধ্যেও মোহাম্মদ হাফিজ তার পেশার বাইরে সামাজিক ও শ্রম কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এবং প্রবাসীদের বিপদে-আপদে সহায়তা দিয়ে আসছেন। বিশেষত দুস্থ ও অসহায় শ্রমিকরা সমস্যায় পড়লে আন্তরিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেন তিনি। অসুস্থ অসহায় প্রবাসীর খবর পেলে তিনি নিজেই এগিয়ে যান। বড় সমস্যা হলে হাইকমিশনকে জানান। এ ছাড়া নানা কাজে হাইকমিশনকেও সহযোগিতা করে থাকেন তিনি। এটা সবার জন্য দৃষ্টান্তমূলক। সে কারণে আমরা মোহাম্মদ হাফিজকে সম্মাননা প্রদান করেছি। আমাদের প্রত্যাশা তার কাজে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন।

দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকের পাশে মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। অনুভূতি জানাতে গিয়ে মোহাম্মদ হাফিজ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিজের বিবেকের তাড়নায় প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানো চেষ্টা করি। এ জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাবো তেমন আশা কখনো করিনি। তারপরও হাইকমিশনের এমন সম্মানে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমি মনে করি, এতে আরও অনেকে উৎসাহিত হবেন মানবতার সেবা আর প্রাবসীদের কল্যাণে এগিয়ে আসার জন্য।

মানিকগঞ্জের সন্তান মোহাম্মদ হাফিজ প্রায় ১৩ বছর মারিশাস প্রবাসে আছেন। বর্তমানে তিনি স্টার প্রিন্ট কোম্পানির অধীনে দেশটির জনপ্রিয় দুটি পত্রিকা ফ্রান্স ভাষার লে এক্সজুর্নাল এবং সানডে টাইমস-এর প্রধান গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত আছেন। পেশার পাশাপাশি তিনি মরদেহ দেশে প্রেরণ, অসুস্থদের চিকিৎসা সহায়তাসহ প্রবাসীদের কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া অসহায় মোহাম্মদ রব, মনির খান, মোল্লা মনির হোসেন, বাবুল হোসেনসহ মারিশাসপ্রবাসী অনেককে তার উদ্যোগে দেশে পাঠানো হয়।

২০১৮ সালে মোহাম্মদ হাফিজের উদ্যোগ ও নেতৃত্বে ১৪টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইয়ং স্টার প্রবাসী কল্যাণ সংঘ। অনলাইনভিত্তিক সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব আছেন তিনি। সংগঠনটির উদ্যোগে অসুস্থ প্রবাসীর চিকিৎসা সহায়তা, মরদেহ দেশে প্রেরণ, নতুন প্রবাসীদের ভাষা শেখায় সহযোগিতাসহ নানা ধরনের কল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি দেশের শীতার্ত মানুষকে কম্বল বিতরণসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।