তারেক জিয়ার কোনো ইমেজ সঙ্কট এখন আর নেই। কৃত্রিম যে সঙ্কটটি তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল তা তিনি অনেক আগেই কাটিয়ে উঠেছেন।
তথাকথিত ১/১১ এর সময় অনেক মামলা হলেও মামলাগুলোয় অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এসব মামলায় সরাসরি তিনি আসামি নন। আসামির স্বীকারোক্তি অনুসারে আসামি করা হয়েছে তারেক রহমানকে। বাংলাদেশের জনগণের সামনে এখন এই ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে গেছে।
২০০১ সালের নির্বাচনে তারেক রহমান যে ভূমিকা রেখেছেন তা ভুলবার নয়, সে সময় নির্বাচনের জন্য পরিকল্পনা, দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা, দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ ইত্যাদি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। মূল সংগঠনসহ সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল, জাসাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়, মতামত গ্রহণ, দলের গঠনতন্ত্র, উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে দলের করণীয় ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিতকরণে সরকারি দল হিসেবে বিএনপির করণীয় প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এসব কাজের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান কেবল প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচয় পেছনে ফেলে দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।
বিদেশি আধিপত্যবাদের থাবা থেকে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা এবং জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে সঠিক ও যুগোপযোগী নেতৃত্ব দিতে আগামী নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী শক্তির বিজয়ের জন্য তারেক রহমান জরুরি হয়ে পড়েছে।
লেখক: কানাডা প্রবাসী, কানাডা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও কানাডা ছাত্রদল সভাপতি
[email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০১২