ম্যানচেস্টার: একাত্তর পরবর্তী প্রজন্ম বই পড়ে বা অগ্রজদের কাছ থেকে গল্প শুনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জেনেছে। কিন্তু ইতিহাস বিকৃতি এবং দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মুক্তিযুদ্ধের দলিল রচনা ও বর্ণনা করার ফলে নতুন প্রজন্ম সত্যিই বিভ্রান্ত।
ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহনীলা শেহরীন এসব কথা বলেন। ২৬ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার জকি আহাদ।
মিশনের পাবলিক রিলেশন অফিসার জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারী হাইকমিশনার জকি আহাদ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘সময় এসেছে সামনের দিকে তাকানোর, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ইতিহাসের সত্যকে মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। ’
অনুষ্ঠানে গ্রেটার ম্যানচেস্টারের আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভার শুরুতেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর অহিদুর রহমান টিপু ও অফিস সহকারী মনিরুজ্জামান।
অধিকাংশ বক্তাই বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিশেষ করে, মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার যে নিষ্পত্তি হয়েছে তাকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
ইংল্যান্ডের নর্থ-ওয়েস্টের ম্যানচেস্টার, ওল্ডহাম, উইরাল, নিউক্যাসল, হাইড, রচডেলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশিরা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এই অনুষ্ঠানে এসে সমবেত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১২
সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর