ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

ড. ইউনূসের সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
ড. ইউনূসের সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান কুড়িগ্রামে গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন

লালমনিরহাট: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘দুর্নীতিমুক্ত সরকার’ বলে অভিহিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, আগে তো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ঘুষ দিতে হতো।

 

সোমবার ( ২১ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘সবাই মিলে গড়বো দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ স্লোগানে আয়োজিত এক গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সাধারণত অভিযোগগুলো কার বিরুদ্ধে? দুদকের বিরুদ্ধে। দুদকেরও বদনাম রয়েছে। আপনারা সেটি ধরিয়ে দেবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। শতভাগ লোক বলে দুর্নীতি চাই না, তাহলে দুর্নীতি কীভাবে হয়? দুই-একজন লোকের কারণে দুর্নীতি হয়। দশমিক শূন্য শূন্য কয়েক ভাগ (অর্থাৎ খুবই নগণ্য সংখ্যক) লোক দুর্নীতি চান বা দুর্নীতি করেন।

দুদক চেয়ারম্যান ড. মোমেন বলেন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের অনেক কর্মকর্তা সৎ ও ভালো। তারা অনেক সময় কাজের সুযোগ পান না। এটিও কাম্য নয়। ৫ আগস্টের পরবর্তী ড. ইউনূসের সরকার দুর্নীতিমুক্ত সরকার। আগে তো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ঘুষ দিতে হতো। সরকারের দুর্নীতির একটি বড় অংশ ঘটে কেনাকাটার ক্ষেত্রে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সবার সহযোগিতা চান তিনি।

তিনি আরও বলেন, দুদকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আসে এবং প্রতিষ্ঠানটিরও বদনাম রয়েছে। এই বদনাম বা দুদকের কোনো কর্মকর্তার দুর্নীতি ধরিয়ে দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিক হতে হবে। সেবাগ্রহীতাদের চাহিদার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজ ঠিকাদার বান্ধব নয়, বাংলাদেশবান্ধব হতে হবে। কয়েকটা গণশুনানিতে গিয়ে আমার একটা বড় অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটা হচ্ছে আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আসলে কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা না। আমরা চাইলে সে সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করতে পারি।  

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের আয়োজনে ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবর আজিজী।  

দুদকের এ গণশুনানিতে জেলায় কর্মরত ৩৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০৬টি অভিযোগ জমা পড়ে। শুনানির সময় সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ও সেবা গ্রহীতার উপস্থিতিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা গ্রহীতারা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত হয়রানির শিকার হন তারা সেগুলো গণশুনানিতে সেবা দাতাদের মুখোমুখি হয়ে কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। গণশুনানিতে উত্থাপিত সমস্ত অভিযোগের অনেকগুলো আমলে নিয়ে সেবা দাতাদের দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।