বগুড়া: উত্তরবঙ্গের রাজধানীখ্যাত বগুড়া নতুন সিটি করপোরেশন হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বগুড়া হতে যাচ্ছে দেশের বড় সিটি করপোরেশনগুলোর একটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা বিধিমালা-২০১০ এর বিধি অনুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি জারি, এলাকাবাসীর মতামত, আপত্তি নিষ্পত্তিমূলক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত ১০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ সিটি করপোরেশন-২ শাখা থেকে উপসচিব মো. ফিরোজ মাহমুদ স্বাক্ষর করা পত্র পাঠানো হয় জেলা প্রশাসককে। পৌরসভার প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুলিপি দেওয়া হয়। এতে সুস্পষ্টরূপে সীমানা চিহ্নিতকরণ শেষে চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা বলা হয়। সময়ের একদিন আগেই জেলা প্রশাসক এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া পৌরসভাটি ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮১ সালে ‘ক’ শ্রেণির মর্যাদা পায় এটি। পরে আয়তন বাড়তে বাড়তে ২০০০ সালে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৭৬ বর্গকিলোমিটার। এরপর ২০০৪ সালে বর্ধিত করে ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটার করা হয়। ২১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বগুড়া পৌরসভা প্রায় ৭০ বর্গকিলোমিটার। সিটি করপোরেশনের জন্য আয়তন হতে হয় কমপক্ষে ২৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১০ লাখ। কিন্তু বাস্তবে এই পৌরসভায় বেশি জনবসতি রয়েছে। দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের চেয়ে আয়তনেও বড়।
বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ার জানান, আওয়ামী লীগের সময়ে বৈষম্যের শিকার হয়ে উন্নয়নবঞ্চিত বগুড়াবাসী। উন্নয়নের স্বার্থে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া পৌরসভাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিটি করপোরেশন বাস্তবায়নের দাবি জানাই।
জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, বিদ্যমান আইনানুযায়ী যে কোনো জেলায় সিটি করপোরেশন বাস্তবায়ন করতে হলে পৌর এলাকার জনসংখ্যা হতে হবে কমপক্ষে চার লাখ। সেখানে বগুড়া পৌরসভার স্থায়ী জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে তিন হাজার প্রয়োজন হলেও এ শহরে আছে পাঁচ হাজার ৮৪৩ জন।
তিনি জানান, সিটি করপোরেশনের সীমানা চূড়ান্ত করতে মৌজাভিত্তিক কাজ করা হয়েছে। বগুড়া সিটি করপোরেশন এখন সময়ের বিষয় মাত্র। সিটি করপোরেশন গঠনের মাধ্যমে বগুড়ার উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখা সম্ভব।