প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (২ মে) রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে এ পুশইনের ঘটনা ঘটে।
ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে তাদের দেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, পুশইনদের মধ্যে ১২ নারী, দুই শিশু ও আটজন পুরুষ রয়েছেন।
ধোবাউড়া উপজেলার মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে এক শিশু ও তিন নারীসহ ১২ জনকে পুশইন করলে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন।
অপরদিকে হালুয়াঘাট উপজেলার সূর্যপুর সীমান্ত দিয়ে এক শিশু ও নয়জন নারীকে পুশইন করা হলে সেখান থেকেও তাদের আটক করা হয়।
আটকদের দাবি, গত ২৪ মে গুজরাট পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর তাদের বিভিন্ন সময়ে মারধর, হয়রানি এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্র যেমন মোবাইলফোন, ভোটার আইডি ও আধার কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়।
তাদের ভাষ্যমতে, তারা ২০০৪ সালে দালালের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে গুজরাটে বিভিন্ন দোকানে কাজ ও ব্যবসা করতেন। অনেকেই ভারতীয় নাগরিকত্বও পেয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে পুলিশের অভিযানে বস্তি ও দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়। কয়েকদিন আটকে রাখার পর সোমবার রাতে মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়। পরে বিজিবি তাদের আটক করে।
এ বিষয়ে বিজিবির ময়মনসিংহ সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই বিএসএফের কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে। আটকদের আইনি প্রক্রিয়ায় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআরএস