সিলেট: সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল গফফার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার (২২ জুন) বেলা দেড়টায় নগরের মাউন্ট এডোরা হসপিটালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
সিলেট বিএনপির একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুল গাফ্ফার দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভোগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জীবদ্দশায় তিনি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মরহুম আব্দুল গাফফারের জামাতা সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ দিনার ১৩ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল তার বন্ধু ছাত্রদল নেতা জুনেদসহ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন।
মো. আব্দুল গফফারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতির এক নির্ভীক সৈনিক ছিলেন প্রবীণ ওই নেতা। দলের ক্রান্তিকালে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে সবসময় থাকতেন সামনের কাতারে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি যে মনোবল ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা বিএনপি নেতাকর্মীদের সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। তার মৃত্যুতে সিলেট বিএনপি পরিবারের যে ক্ষতি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
শোকবার্তায় তিনি প্রবীণ এই নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এদিকে আব্দুল গফফারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
তিনি এক শোকবার্তায় বলেন, মরহুম অ্যাডভোকেট আব্দুল গফফার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের একজন নিবেদিত প্রাণ ও বিপ্লবী সৈনিক ছিলেন। তিনি দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার এবং সমাজে ন্যায়প্রতিষ্ঠার জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কোনোদিনও পূরণ হওয়ার নয়। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এনইউ/এএটি