মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে মৌসুমের সপ্তম চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) শ্রীমঙ্গল শহরের খাঁন টাওয়ারে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে নিলামে মোট এক লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কেজি চা তোলা হয়।
নিলামে সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হয়েছে গ্রিনলিফ চা বাগানের গ্রিন-টি এক হাজার ৪৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়। আর ন্যাশনাল টি কোম্পানির পাত্রখোলা চা বাগান এবং প্রেমনগর চা বাগানের ব্ল্যাক-টি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৭১ টাকা দরে।
চা নিলাম সংশ্লিষ্টরা জানান, সপ্তম এ নিলামে স্থানীয়ভাবে পাঁচটি ব্রোকার্স অংশ নিয়েছিল। সেই সঙ্গে আজকের এ নিলামে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন চা বাগান থেকে এক লাখ ২৫ হাজার ৩৩৭ কেজি চা নিলাম বাজারে ওঠে। টাকার হিসাবে এর দাম তিন কোটি সাত লাখ সাত হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রোকার ও বায়ার জানান, সরকার দ্বিতীয় দফায় চায়ের দাম বাড়িয়েছে। এতে চা নিলামে প্রভাব পড়েছে। নিলামে ধস নেমেছে চা বিক্রি। চায়ের গুণগতমান এবং নতুন মূল্য নির্ধারণ নিলাম ধসের কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তারা বলছেন, সিলেট এবং চট্টগ্রামের চায়ের মূল্য ৮৫ টাকা বাড়িয়ে ২৪৫ টাকা করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের সমতলের বাগানগুলোর চা ১০ টাকা কেজিতে বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গড়ে প্রতি কেজি চা ২৯০ থেকে ৩শ টাকা হওয়াতে নিলামে বিক্রি কমার কারণ বলে জানান।
তবে নিলাম সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজকের নিলামে মাত্র দশ শতাংশ চা বিক্রি হয়েছে। এত কম পরিমাণে চা বিক্রির কারণ হিসেবে জানা যায়, বায়রা উপস্থিতি কম এবং চা বোর্ড দ্বিতীয়বারের মতো চায়ের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বায়রা জানান, চা বোর্ড সম্প্রতি পঞ্চগড়ের চায়ের দাম আগের নির্ধারিত ১৬০ টাকার পরিবর্তে কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
এ ছাড়া সিলেট ও চট্টগ্রামের চা আগের দামের চেয়ে কেজিতে ৮৫ টাকা বাড়িয়েছে। দাম বাড়তির কারণে অনেকেই চা কিনতে আগ্রহ হননি।
আগের ষষ্ঠ নিলামে (১৮ জুন) পাঁচটি বোকার্স হাউজের এক লাখ ১৪ হাজার ৮১৮ কেজি চা নিলামে উঠেছিল। বিক্রি হয়েছে মাত্র ২১ হাজার ৫৯০ কেজি। অবিক্রিত ছিল ৯৩ হাজার ২২৯ কেজি চা। গড়মূল্য ছিল ২০৬ টাকা ৮৬ পয়সা।
চায়ের গুণগতমান উন্নত করার দিকে নজর দিচ্ছেন বলে জানান বাগান মালিকরা।
বিবিবি/এএটি