খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে খুলনা প্রেসক্লাবে অবরুদ্ধ করেছেন বলে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্য খবর প্রচার করেছে। তবে প্রেস সচিবকে অবরুদ্ধ করতে নয়, কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবির বিষয়টি তাকে অবহিত করতে প্রেসক্লাব ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার (২৮ জুন) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে আমরা অবরুদ্ধ করিনি। তিনি আমাদের খুলনার অতিথি। আমরা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (কেএমপি) জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবির বিষয়টি তাকে অবহিত করতে গিয়েছি। গত চার দিন যে আন্দোলন করছি, খুলনার আইনশৃঙ্খলার যে অবনতি হয়েছে—এসব বিষয় আমরা প্রেস সচিবকে জানাতে গেছি। আমরা চেয়েছি খুলনার পরিস্থিতি তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আমাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবগত করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করব।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রেস সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে খুলনা প্রেসক্লাবে এলে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ক্লাব ভবনে উপস্থিত হয়ে সামনের সড়ক অবরোধ করেন।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর খানজাহান আলী রোড গ্লাক্সোর মোড়ে কেএমপি হেড কোয়ার্টার ঘেরাও, সড়ক অবরোধ ও রাস্তায় টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর বিকেল ৫টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা খুলনা প্রেসক্লাবের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় সময়ে আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ দুটি মামলা রয়েছে। এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেপ্তার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
এমআরএম/এমজেএফ