ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০২ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, ভোলায় ৩০ গ্রাম প্লাবিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৫, জুলাই ২৬, ২০২৫
মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, ভোলায় ৩০ গ্রাম প্লাবিত জোয়ারের পানিতে ভোলায় ৩০ গ্রাম প্লাবিত

ভোলায় দ্বিতীয় দিনের মতো বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে মেঘনার পানি। এতে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা।

 

শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে ভোলার সদর, মনপুরা, তজুমদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ এবং অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনা নদীর অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

এদিকে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটসহ অভ্যন্তরীণ ১০ রুটের লঞ্চ চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অতি জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে উপকূলের রাস্তাঘাটসহ বিস্তীর্ণ জনপদ।

ভোলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে বসতঘর, বাড়ির আঙিনা, রাস্তাঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে। কোথায় হাঁটু পানি আবার কোথায় কোমর সমান পানিতে তলিয়ে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া দিনভর বর্ষণের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে অনেক স্থানে। অতি জোয়ারের চাপে  পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে গেছে। ডুবে গেছে রান্না ঘর, রাস্তাঘাট।

পানিবন্দি এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা রহিমা বেগম বলেন, দুদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ভাসছি। অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।

এলাকাবাসী জানায়, নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকহারে বেড়ে এ অবস্থায় ভোলার উপকূলের অন্তত ৩০ গ্রামের। তবে শুক্রবারের (২৫ জুলাই) তুলনায় শনিবার পানির চাপ কিছুটা কম। তবুও প্লাবিত উপকূলের বিভিন্ন এলাকা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে চারপাশ ডুবে থাকায় অনেকের ঘরে রান্নার চুলাও জ্বলেনি। এতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকায়। পানিবন্দি হয়ে চরম ভোগান্তিতে মানুষ।

ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান বলেন, নিম্নচাপেরর প্রভাবে পানি বেড়ে অনেকে স্থানে পানি প্রবেশ করেছে। বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যারা পানিবন্দি আছেন, তাদের সহায়তা করা হবে।

ভোলা পাউবো তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মেঘনার বিপৎসীমা অতিক্রম করায়  বাঁধের বাইরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে পানি নেমে গেলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।