ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

খোলপেটুয়া নদীর চর দেবে ভাঙন আতঙ্কে সাড়ে ৩শ’ পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:২৭, আগস্ট ২৭, ২০২৫
খোলপেটুয়া নদীর চর দেবে ভাঙন আতঙ্কে সাড়ে ৩শ’ পরিবার

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের উত্তর ভামিয়ার জমাদ্দার পাড়ায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ৪শ ফুট চর দেবে গিয়ে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এতে বসতঘর ও জমি হারানোর শংকায় দিন কাটছে অন্তত সাড়ে ৩শ’ পরিবারের।

ভাঙনকবলিত এলাকাবাসী জানান, গত ২৩ আগস্ট বিকেলে চরের এই অংশ দেবে যায়। এরপর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

এদিকে, ভাঙনরোধে আগাম কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, চর দেবে যাওয়ার পর চার দিন অতিবাহিত হলেও খোলপেটুয়া নদীর ওই এলাকায় ভাঙন রোধে পাউবো কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ নেয়নি। একের পর এক চর দেবে গেলেও শুধুমাত্র পরিদর্শনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তাদের কার্যক্রম। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় উপকূল রক্ষা বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো নদীতে তলিয়ে যাবে।

স্থানীয় এরশাদুর রহমান বাবু বলেন, গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহতভাবে জমাদ্দার পাড়া সংলগ্ন এলাকা ভাঙছে। এই অংশের চর নদীতে দেবে গিয়ে এলাকার ঘরবাড়ি, মৎস ঘের, মিষ্টি পানির পুকুর, মসজিদসহ নীলডুমুর ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দপ্তর ঝুঁকির মধ্যে চলে যাচ্ছে। তারপরও কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

স্থানীয় আবুল হোসেন, অহিদ জমাদ্দার ও সেলিম হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গত শনিবার নদীর চরে ভাঙন দেখা দেয়। যত সময় যাচ্ছে আস্তে আস্তে ভাঙন ওয়াপদার দিকে চলে আসছে। ভাঙনকবলিত স্থানে ৭০ থেকে ৮০ ফুট গভীর হয়ে গেছে। দ্রুত এই ভাঙন রোধ করা না গেলে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা গত দুইদিন আগে আমাকে ভাঙনের বিষয়টি জানায়। আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (শ্যামনগর পওর শাখা) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনসহ বর্তমান বেড়িবাঁধের অবস্থার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ভাঙনকবলিত স্থানের জরিপও শেষ হয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুতই সেখানে কাজ শুরু হবে।

 

এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।