ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মো. আব্দুল্লাহ্ (২৩) নামে এক যুবককে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে গণপিটুনি ও পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিহতের ভাই শাকিল মিয়া নবীনগর থানায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনের নাম উল্লেখসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামে তবি মিয়া, আল আমিন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহের চর গ্রামের আয়নাল হক, সলিমগঞ্জ অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মহিম উদ্দিন। এছাড়া একজন অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন।
পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর নবীনগরের বড়াইল গ্রামে তবি মিয়ার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর সলিমগঞ্জ বাজারে তবি মিয়া, আল আমিন, ও আয়নাল হকসহ ২০/২৫ জন আব্দুল্লাহকে চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় আব্দুল্লাহ। পরে সলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মহিম উদ্দিনের কাছে তাকে হস্তান্তর করেন। কিন্তু ওই ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে তাকে ক্যাম্পে চারদিন আটকে রেখে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্যাম্পের দায়িত্বরত পুলিশ আব্দুল্লাহকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. এহতেশামুল হক বলেন, এ ঘটনায় এক পুলিশ সসদ্যসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরএ