বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমান বলেছেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। জনগণ নির্বাচন চায়, সরকার প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন হবে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সড়ক বাজারে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মুশফিকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন দল বিভিন্ন কথা বলে নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে চায়। এটা একটা ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে শুধু আমাদের দেশের লোকই নয় বিদেশি হস্তক্ষেপও আছে। তারা চায় না, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হোক। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নে খুশি না। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য খুশি না। যদি তাই হত তাহলে এখান থেকে পালিয়ে যাওয়া নেতাদের আশ্রয় দিত না। কারণ আশ্রয় নেওয়া ও দেওয়া দুটোই অপরাধ। আজকে আমাদের সময় এসেছে তাদের চেনার। বিএনপির বিকল্প যদি কেউ থাকে সেটা ভোটের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা জনগণের ভোটের জন্য সংগ্রাম করেছি। এই সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর কতোটা অত্যাচার হয়েছে। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। জেলখানায় নেওয়া হয়েছে। কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় নাই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর অমানুসিক অত্যাচারের কথাও তিনি তুলে ধরেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল হুদা খন্দকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন।
এছাড়া জনসভায় উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি নেতারা বক্তৃতা দেন। পরে সভা থেকে তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্যে ঘোষিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র করে বিকেল থেকেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে আখাউড়া সড়ক বাজারের জনসভাস্থল।
আরএ