রংপুর রাইডার্সের ব্যাটিংয়ে শুরুটা হলো না ভালো। মাহেদী হাসান ছক্কা মারার হ্যাটট্রিক করলেন।
ওই রান তাড়া করতে নেমে কখনোই সেভাবে লড়াইয়ে ছিল না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু হুট করে রোমারিও শেফার্ড ভয় ধরান, যদিও শেষ অবধি দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৮ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করে তারা।
ওই রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি চট্টগ্রাম। ১০ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে প্লে অফ খেলা নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স। ১০ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে পাঁচে আছে চট্টগ্রাম।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বিপদেই পড়ে রংপুর রাইডার্স। পঞ্চম ওভারে এসে প্রথম উইকেট হারায় তারা। শহিদুল ইসলামের আগের বলে ছক্কা হাঁকানো রনি এবার হয়ে যান বোল্ড। এর আগে ১৯ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
পরের ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে যান রেজা হেনরিকস। ১১ বলে ৪ রান করে তিনি এলবিডব্লিউ হন রোমারিও শেফার্ডের বলে।
পাওয়ার প্লে-টাও খুব ভালো যায়নি রংপুরের জন্য। ৬ ওভারে ৪০ রান তুলে দুই উইকেট হারায় তারা। রংপুর আরও চাপে পড়ে ব্রেন্ডন কিংকে হারালে। মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলে আসা এই ব্যাটার ৯ বলে ২ রান করে আউট হয়ে যান। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও ফেরেন ৯ বলে ৫ রান করে।
তবে আরও একবার দলটির হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। আরও একবার আলো ছড়ায় তার ব্যাটে। এর সঙ্গে যোগ দেন মাহেদী হাসান। জিয়াউর রহমানকে এক ওভারে টানা তিন ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের ওভারের প্রথম দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকান সাকিব।
১৭ বলে ৩৪ রান করে বিলাল খানের বলে বোল্ড হয়ে যান মাহেদী। আউ হওয়ার হতাশায় স্টাম্পে আঘাত করতে গিয়েও শেষ অবধি করেননি তিনি। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তোলেন সাকিব। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ বলে ৬২ রান করেন তিনি। রোমারিও শেফার্ডের বলে বাউন্ডারি লাইনে তার ক্যাচ ধরেন তানজিদ হাসান।
এরপর শামীম হোসেন ৯ বলে ১ চার ও সমান ছক্কায় ১৭ রান করেন। রংপুরের রানও দেড়শ ছাড়িয়ে যায়। চট্টগ্রামের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন রোমারিও। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। দুই উইকেট করে নেন সালাউদ্দিন শাকিল ও শহিদুল।
রানতাড়ায় নামা চট্টগ্রামের শুরুতেই ধস নামান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। চট্টগ্রামের প্রথম তিন ব্যাটারকেই আউট করেন তিনি। ৩২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকতে থাকা দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন টম ব্রুস ও শুভাগত হোম। এই দুজন মিলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন।
এ দুজনকেই ফিরিয়ে দেন মাহেদী হাসান। ২৪ বলে ২৪ রান করে ব্রুস ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের হাতে। ১৯ বলে ২১ রান করা শুভাগত ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের হাতে।
পরের গল্পের পুরোটাজুড়েই থাকবেন কেবল রোমারিও শেফার্ড। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ৫১ রান। হাসান মাহমুদের করা ১৯তম ওভারে ২২ রান নে রোমারিও। স্বাভাবিকভাবেই একটা আতঙ্ক ভর করে। যদিও শেষ অবধি ম্যাচটি জেতাতে পারেননি শেফার্ড। ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ৩০ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। রংপুরের হয়ে প্রিটারিয়োস তিন ও মাহেদী হাসান দুটি উইকেট নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এমএএইচ/এসএএইচ