ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৭

খেলা

বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ‘মৃতপ্রায়’ স্কোয়াশের পুনরুজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৯, অক্টোবর ১৩, ২০২৫
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ‘মৃতপ্রায়’ স্কোয়াশের পুনরুজ্জীবন ছবি: শাকিল আহমেদ

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে শুরু হলো ‘৫ম জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫’। সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় দেশজুড়ে আঞ্চলিক পর্যায় থেকে বাছাইকৃত রেকর্ডসংখ্যক ১৮০ জন খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ৮০ জন।

এদিন বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার মূল পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জার্সি উন্মোচন ও বেলুন উড়িয়ে তিনি এই আসরের শুভ সূচনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘গত চার বছরে বাংলাদেশের স্কোয়াশ অনেকদূর এগিয়েছে। নিয়মিত এই ধরনের জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনই প্রমাণ করে আমাদের স্কোয়াশের সুদিন আসছে। ’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্কোয়াশ ফেডারেশনের নিজস্ব কমপ্লেক্স না থাকায় সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়েছে। এর ফলে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির আধুনিক অবকাঠামো ব্যবহার করে নিজেদের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারবে ফেডারেশন।

এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কোয়াশকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টি ও তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা অর্জনের দিকেই আমরা কাজ করছি। ’

উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই আসরকে ঘিরে আশাবাদী পৃষ্ঠপোষকরাও। উর্মি গ্রুপের পরিচালক ফায়েজ রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে মৃতপ্রায় স্কোয়াশ খেলাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পেরে উর্মি গ্রুপ নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করে। আমরা আগামীতেও ফেডারেশনের পাশে থাকবো। ’

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বসুন্ধরা গ্রুপের অবদানের কথা উল্লেখ করে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অব.) মহসিনুল করিম বলেন, ‘দেশের স্কোয়াশ খেলাকে আবার জীবিত করতে পেরে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ খেলাটিকে এগিয়ে নিতে পাশে থাকবো। ’

এবারের প্রতিযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের একটি বড় অংশ এসেছে কালশী, ভাষানটেক ও রজনীগন্ধার মতো সুবিধাবঞ্চিত এলাকা থেকে। সমাজের নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তাদের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, স্কোয়াশ বাংলাদেশে গণমানুষের খেলা হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রাখে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশের স্কোয়াশ খেলোয়াড়রা এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ ও নেপালে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে পুরস্কার নিয়ে ফিরেছেন। আগামী ১৬ অক্টোবর বিকাল ৪টায় এই আসরের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।

এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।