ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতেই

ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্রে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) আনা সংশোধনী অবৈধ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

আদালত বলেছেন, গঠনতন্ত্র সংশোধনের যে ক্ষমতা সেটি বিসিবির হাতেই থাকবে। এনএসসি সে গঠনতন্ত্র তাদের জন্য সংশোধন করে দিতে পারবে না।

সুতরাং এ গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতে থাকবে।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার (২৬ জুলাই) এ রায় দেন।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ বলেছেন- গঠনতন্ত্র সংশোধনের যে ক্ষমতা সেটি বিসিবির হাতেই থাকবে। এনএসসি সে গঠনতন্ত্র তাদের (বিসিবি) জন্য সংশোধন করে দিতে পারবে না। সুতরাং এই গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতে থাকবে। এতে বিসিবি আরও স্বায়ত্ত্বশাসিত হবে, সংঘবদ্ধ হবে শক্তিশালী হবে। ক্রিকেট এবং ক্রিকেট বোর্ড দুটিই শক্তিশালী হবে। ভবিষ্যতে ক্রিকেটের উন্নতি হবে।  

তিনি বলেন, আদালত আরও বলেছেন-আগামী পাঁচ বছরে ক্রিকেট বিশ্বক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। তার জন্য বিসিবি এবং বাংলাদেশকে এখনো প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন। এই জন্য বিসিবিকে শক্তিশালী করতে হবে। গঠনতন্ত্রে সংশোধন বিয়োজন করবে কেবল বিসিবি। অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।  
 
২০১২ সালের নভেম্বরে বিসিবির গঠনতন্ত্রের সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিসিবির সাবেক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোবাশ্বের হোসেন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ইউসুফ জামিল বাবু।

এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করেন ও সংশোধনীর ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। ওই রুলের চূড়ান্ত  শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি রোববার আদালত সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন।

রিটকারীদের দাবি ছিলো, বিসিবির গঠনতন্ত্রে ২৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য সাধারণ পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন নিতে হবে। বিসিবি ২০১২ সালের ১ মার্চ বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠায়। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবি সাধারণ পরিষদের সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে নিজেদের মনগড়া সংশোধনী আনে। যা গঠনতন্ত্রের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যেভাবে অবৈধ উপায়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ১৯৭৪ এর ২০ এর (ক) ধারার পরিপন্থী। ক্রীড়া পরিষদ মডেল গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে পারে কিন্তু বিসিবির এজিএমে অনুমোদিত গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা রাখে না। ’ 


পরে হাইকোর্টের এ রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির কোর্টে আবেদন করে এনএসসি ও বিসিবি। এরপর চেম্বার জজ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। একইসঙ্গে লিভ টু আপিল করতে বলেন। ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই আদালত তাদের আপিলের অনুমতি দেন ।  

আদালতে এনএসসির পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

বিসিবির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ।

রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৩
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।