শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় শোভাযাত্রাটি মহানগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাদিস পার্কে এসে শেষ হয়।
গ্রামীণফোনের পৃষ্ঠপোষকতা আয়োজিত বর্ধনে ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি ও প্রতীকী নৌকা নিয়ে মাঝি-মাল্লারা শোভাযাত্রার শোভা অংশ নেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিসিবি’র পরিচালক শেখ সোহেল, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরদার আনিসুর রহমান পপলু, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফ্যলে, হেড অব মার্কেটিং সোলায়মান আলম, নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপদেষ্টা ও খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ-জামান, নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মোল্লা মারুফ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান রহিম, খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, গ্রামীণফোনের খুলনা সার্কেল প্রধান মো. মোল্লা নাফিজ ইমতিয়াজ, খুলনা সার্কেলের হেড অব মার্কেটিং পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য, মিডিয়া রিলেশন্স স্পেশালিষ্ট তানভীর আহমেদ।
নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে এ নৌকাবাইচ দুপুর আড়াইটায় ১ নম্বর কাস্টম ঘাট থেকে শুরু হয়ে খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু)-তে গিয়ে শেষ হবে।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, দুপুর ২টায় কাস্টম ঘাটে বাইচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা চলবে। বাইচের উদ্বোধন করবেন সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান। পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে রূপসার ফেরীঘাটে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা অংশ নেবেন।
এবারের প্রতিযোগিতায় ৩টি গ্রুপে মোট ৩২টি দল অংশ নেবে। এর মধ্যে বড় গ্রুপে প্রথম পুরস্কার ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৬০ হাজার ও তৃতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার টাকা। ছোট গ্রুপে প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার ও তৃতীয় পুরস্কার ২০ হাজার টাকা।
এছাড়া বিশেষ গ্রুপে প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার ও তৃতীয় পুরস্কার ২০ হাজার টাকা।
নৌকাবাইচ শুরুর আগে রূপসা নদীর দুই প্রান্তে কার্গো, বার্জসহ অন্যান্য জলযান চলাচল বন্ধ থাকবে। অনুষ্ঠান চলাকালীন সেতুর ওপরে শুধুমাত্র নারী ও শিশু দর্শনার্থী দাঁড়িয়ে বাইচ উপভোগ করতে পারবে। কোনো পুরুষ দর্শনার্থী সেতুতে ওঠতে পারবেন না।
সেতুর পশ্চিম প্রান্তে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। দুর্ঘটনা এড়াতে নদীর দুই পাড়ের পন্টুনেও কোনো দর্শক উঠতে পারবে না। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্য মোতায়েন থাকবে।
এছাড়া বাইচ চলাকালে রূপসা সেতুতে যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে গল্লামারী-বটিয়াঘাটা রোড থেকে রূপসা সেতু পর্যন্ত এবং রূপসা ফেরিঘাট থেকে রূপসা সেতু পর্যন্ত পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
এমআরএম/জিপি