ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

মাউন্ট কানামো চূড়ায় চার তরুণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
মাউন্ট কানামো চূড়ায় চার তরুণ মাউন্ট কানামো চূড়ায় চার তরুণ।

পাঁচজন যুবক। চোখে স্বপ্ন পাড়ি দেবেন হিমালয়ের উঁচু সব চূড়া। এবারের লক্ষ্য ছিল ভারতের হিমাচল প্রদেশের লাহুল ও স্পিতি জেলার কিবের গ্রামের নিকটবর্তী মাউন্ট কানামো। প্রায় ৬ হাজার মিটার উঁচু এই চূড়াটিকে আদর করে বলা হয় হোয়াইট লেডি। 

সবাই যখন প্রস্তুত ঈদ উদযাপন করতে পরিবারের সঙ্গে তখন মাসুদ আনন্দ, আবু বকর সিদ্দিকী, হাসান বান্না, রাসেল ভূঁইয়া, তাজরিয়ান হাসনাইন বিজয় নিজেদের তৈরি করেছেন শারীরিক ও মানসিকভাবে সেই সুউচ্চ চূড়া আরোহণের।  

ঈদের ছুটি পুরোপুরি কাজে লাগাতে তারা ৩০ মে রওয়ানা দেন কলকাতার উদ্দেশ্যে।

বেনোপোল দিয়ে পার হয়ে তারা উঠে পড়েন দিল্লির ট্রেনে। এরপর কখনো ট্রেন, কখনো বাস, কখনো রিজার্ভ গাড়ি করে, কখনো হেঁটে জুন মাসের ৬ তারিখে পৌঁছেন মাউন্ট কানামোর বেসক্যাম্পে।  কানামোর পথে বাংলাদেশি ৫ তরুণ

উচ্চতা ৪৮১৬ মিটার বা ১৫৮০০ ফুট প্রায়। চারিদিকে বরফের শুভ্রতায় মেশানো এ বেসক্যাম্পে তাদের সঙ্গী হন কিবেরের একজন গাইড ও দু’জন পোর্টার। সেখানে একদিন তারা ট্রেক করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে। ৭ তারিখ দিনে তারা স্নো ট্রেকিং অনুশীলন করেন পাশের বরফ পাহাড়ে।  

কানামো চূড়া৮ তারিখ রাত ৩টায় তারা শুরু করেন চূড়ান্ত অভিযান। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টার কঠিন লড়াইয়ের পর আবু বকর কানামোর চূড়ায় উঠতে সক্ষম হন সকাল সাড়ে ৯টায়। এরপর একে একে বিজয় সাড়ে ১০টায় এবং বান্না আর রাসেল দেড়টার দিকে সামিট সম্পন্ন করেন। সবাই সুস্থভাবে বেসক্যাম্পে ফিরে আসেন। তবে ফেরার সময় রাসেল উচ্চতাজনিত অসুস্থতার স্বীকার হলেও সঙ্গী বান্না আর গাইড কিষানের সহযোগিতায় বেসক্যাম্পে ফিরে আসেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াই। মাসুদ এই টিমের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।