১৬৪৭ সালে তৎকালীন রাজধানী জাহাঙ্গীরনগরে তৈরি কামানটির নির্মাতা জনাধন কর্মকার নামে এক ব্যক্তি। কামানটির নামকরণের পেছনে রয়েছে এক বিস্ময়কর গল্প।
জানা গেছে, তৎকালীন সম্রাটের নির্দেশে কামানটি দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পথে ভাগীরথী নদীতে নৌকা ডুবি ঘটে। এতে তলিয়ে যায় কামানটি। এর প্রায় দুইশ’ বছর পর ভাগীরথী নদী থেকে বালু তুলে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার হাজারদুয়ারী প্যালেস নির্মাণের সময় পাওয়া যায় সেই কামানটি। তখন বাংলা বিহার উড়িষ্যার মনসদে ছিলেন মীর জাফরের পঞ্চম বংশধর হুমাউন জা। কামানটি তিনি পরবর্তীকালে হাজারদুয়ারীতে সংরক্ষণ করেন। হাজারদুয়ারী প্যালেস ও ইমামবাড়ার ঠিক মাঝখানে রাখা হয়েছে কামানটি। যা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন শত শত দর্শনার্থী।
এর নামকরণ নিয়ে পর্যটক গাইড হাছিমুল হক পার্কার বাংলানিউজকে জানান, কামানটি পাওয়ার পর নবাব হুমাউন জার নির্দেশে ১৮ কেজি বারুদ ভরে ফায়ার করার পর ঘটে এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। কামানের শব্দে এর চারপাশের ১০ মাইলের মধ্যে যে সব নারীরা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তাদের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। সেই থেকেই এই কামানের নাম হয়ে যায় বাচ্চাওয়ালী কামান।
স্থানীয়রা মনে করেন, এই কামানের জন্য মায়েদের পেটে থাকা অসংখ্য বাচ্চাকে বলি দিতে হয়। তাই এটাকে বলা হয় বাচ্চাওয়ালী কামান।
তিনি আরও জানান, জনাধন কর্মকারের তৈরি চারটি কামানের মধ্যে একটি এখনও ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সংরক্ষিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
আরএ