ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

গাইবান্ধা পৌরপার্ক শহরবাসীর ‘শান্তির নীড়’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
গাইবান্ধা পৌরপার্ক শহরবাসীর ‘শান্তির নীড়’ গাইবান্ধা পৌরপার্ক শহরবাসীর ‘শান্তির নীড়’

গাইবান্ধা: শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী নারী-পুরুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে গাইবান্ধা পৌরপার্কটি। এ যেন শহরবাসীর ‘শান্তির নীড়’।

শহরের ঠিক মধ্যখানে নির্মিত পার্কটির সৌন্দর্য নজরকাড়া। এটি সাজানো হয়েছে বেশ পরিপাটি ভাবে।

সেখানে গিয়ে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। অনুভব করবেন প্রশান্তি।

পার্কে রয়েছে বিশাল পুকুর, পুকুরের সিঁড়ি, বিভিন্ন রংয়ের মাছ, মধ্যখানে ফোয়ারা, সারি সারি বেঞ্চ, গ্যালারি, ক্যান্টিন, বিভিন্ন পশু-পাখির প্রতিকৃতি, চারিদিকে পাকা রাস্তা। রাস্তার পাশে সারি সারি জবা টগরসহ বিভিন্ন ফুলের গাছ, শিশুদের জন্য রয়েছে দোলনাসহ বিনোদনের নানা উপকরণ। যা খুব সহজেই কাছে টানে যে কোনো বয়সী মানুষকে। আর রাত নেমে এলে নানা আলোক সজ্জায় এক মায়াবী রূপ ধারণ করে পার্কটি।

শহরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পর নির্মল বাতাসে হাঁটতে যাই পার্কে। সেখানে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে তবেই বাসায় ফিরি। ভোরে আমার মতো অনেকেই ভিড় করেন পার্কে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা পার্কের সড়ক দিয়ে হেঁটে বেড়ান। বড়দের সঙ্গে শিশুরাও আসে। গাইবান্ধা পৌরপার্ক শহরবাসীর ‘শান্তির নীড়’তিনি জানান, একজন রিকশা চালক থেকে পৌর মেয়র পর্যন্ত প্রত্যেকে শান্তি-স্বস্তির জন্য দিনে অন্তত একবারের জন্য হলেও এখানে আসেন। এর মধ্যে অনেকে ভোরে, কেউ রাতের খাবার শেষে আসেন হাঁটতে। আবার শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রমের ফাঁকে খানিকটা বিশ্রাম নিতে আসেন ভর দুপুরে। বিনোদনের জন্য শিশু-কিশোররা ছুটে আসে বিকেলে। আর সন্ধ্যার পর সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আড্ডায় মিলন মেলায় পরিণত হয় পার্কটি।

পৌর শহরের মধ্যপাড়ার আরেক বাসিন্দা আফরিন আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, বিনোদনের জন্য সব ধরনের আয়োজন রয়েছে গাইবান্ধার পৌর পার্কটিতে। তাই সুযোগ পেলেই শিশুদের নিয়ে সেখানে গিয়ে কিছুটা সময় কাটাই। শহরের ঠিক মাঝখানে হওয়ায় ইচ্ছে হলেই যখন তখন যেতে পারি সেখানে। পার্কে  দর্শনার্থীরা। পৌর পার্কটির পাশের এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার আব্দুল আহাদ। তিনি বাংলানিউজকে জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠেই ছুটতে হয় কাজের সাইটে। বাসায় ফিরতে বেশ রাত হয়ে যায়। তাই রাতের খাবারের পরে হলেও পার্কে আসি। খোলা আকাশ, চারপাশে ফুলের বাগান মাঝখানে পুকুর, পাশ দিয়ে তৈরি রাস্তা দিয়ে হাঁটি, ফুলের বাগানে থাকা বেঞ্চে বসে স্নিগ্ধ বাতাসের পরশ নিই। এভাবে বেশ কিছুটা সময় কাটানোর পর বাড়ি ফিরি। এখানে আসলে সারাদিনের সব ক্লান্তি কেটে যায়।

পার্কে ঘুরতে আসা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম কাজল বাংলানিউজকে বলেন, মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে গাইবান্ধা শহরে এসেছি। এ পার্কটি সব সময় কাছে টানে। তাই কাজ শেষে বাড়ি ফেরার আগে কিছু সময়ের জন্য পার্কে এসেছি। সুযোগ পেলেই পরিবারসহ এখানে বেড়াতে আসি।

গাইবান্ধা পৌর মেয়র শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন বাংলানিউজকে জানান, গাইবান্ধা পৌরপার্কটি পৌরবাসীর প্রাণ। পৌরবাসীর পদচারণায় সব সময় মুখরিত থাকে এটি। তাই এখানকার সার্বিক নিরাপত্তা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্য ও আধুনিকায়নের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সামনেও এ  ধারা অব্যাহত থাকবে। ১৯২৭ সালে তৎকালীন জমিদার গোবিন্দ লাল রায়ের দান করা ১ একর ৭ শতক জমির ওপর নির্মিত হয়েছিল পার্কটি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।