ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

লাখো পর্যটকে মুখর কক্সবাজার, ফাঁকা নেই হোটেল-মোটেল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
লাখো পর্যটকে মুখর কক্সবাজার, ফাঁকা নেই হোটেল-মোটেল

কক্সবাজার: লাখো পর্যটকে মুখর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। এখানকার হোটেল-মোটেলগুলোত থাকার জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ইতোমধ্যেই। সারাদেশের স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসে চাপ অনেক বেড়ে গেছে কক্সবাজারে।

পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসগুলোতে। কোথাও কোনো রুম ফাঁকা নেই তাদের।

প্রতিদিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে আসছে লাখো পর্যটক। তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে টুরিস্ট পুলিশ। রয়েছে জেলা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
লাখো পর্যটকে মুখর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, ছবি: বাংলানিউজকক্সবাজারের ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টোয়াক বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এখানকার চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসে সোয়া লাখ পর্যটকের রাত যাপনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমার জানা মতে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এখানকার সবকটি হোটেলই বুকিং হয়ে গেছে। যে কারণে যেসব পর্যটক আগে হোটেল বুকিং না করে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছে, তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সারাদেশের স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় লোকজন সপরিবারে কক্সবাজার ভ্রমণে আসছে। যে কারণে পর্যটকদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
লাখো পর্যটকে মুখর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, ছবি: বাংলানিউজতিনি বলেন, এখানকার চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসে সোয়া লাখ পর্যটকের রাত্রি যাপনের সুযোগ ছিল। কিন্তু রোহিঙ্গা আসার পর এসব হোটেল-মোটেলের বড় একটি অংশ জাতিসংঘভুক্ত সংস্থা, এনজিওসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দখলে চলে গেছে। যে কারণে এবার হোটেলগুলোতে সংকট বেড়েছে।

শহরের কলাতলীর হোটেল সি উত্তরার এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ডিসেম্বরজুড়েই পর্যটকদের চাপ বেশি। মনে হচ্ছে প্রতিদিনই শুক্রবার, ছুটির দিন। ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত এখানে মাত্র দুয়েকটি রুম খালি আছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ঘুরতে আসা রাজশাহীর কলেজছাত্রী মুমতাহিনা নূর বাংলানিউজকে বলেন, আমি নিরিবিলি পছন্দ করি। কিন্তু এখানে এতো পর্যটক! চারদিকে অস্বাভাবিক অবস্থা। তবুও বিশাল সমুদ্রের সামনে এলে মনটা জুড়িয়ে যায়। এটাই কক্সবাজার ভ্রমণের আনন্দ।
লাখো পর্যটকে মুখর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, ছবি: বাংলানিউজআব্দুল করিম সপরিবারে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন কুমিল্লা থেকে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ইনানী, হিমছড়ি, রামুর বৌদ্ধবিহার দেখেছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো। যে কারণে সৈকত ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ডিসম্বরে প্রতিবছরই পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। তবে এ বছর একটু বেশি মনে হচ্ছে। বিশেষ করে শুক্র-শনিবার বাড়তি চাপ থাকে এখানে।

তিনি বলেন, শুধু সমুদ্র সৈকত নয়, আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে রাত-দিন ২৪টি ঘণ্টা নির্দিষ্ট পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে টুরিস্ট পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এসবি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।