ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

পর্যটন

ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাতায়াতে কড়াকড়ি, সেন্টমার্টিনে চলছে ধর্মঘট 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১
ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাতায়াতে কড়াকড়ি, সেন্টমার্টিনে চলছে ধর্মঘট 

কক্সবাজার: দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াতে কড়াকড়ি আরোপ করার প্রতিবাদে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালন করছে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসী।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) থেকে তিনদিনের এ ধর্মঘটের ডাক দেয় দ্বীপবাসী।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দ্বীপবাসী ছাড়াও এ কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করেছে সেন্ট মার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতি, স্পিডবোট, গামবোট, ইজিবাইক (টমটম), ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, দোকানপাট, বাজার কমিটি, হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, তিনদিনের ধর্মঘটের আজ দ্বিতীয় দিন চলছে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এ ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ধর্মঘট চলাকালীন শুধু খাবার দোকান আর ফার্মেসি ছাড়া সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে। সাগরের সব ধরনের নৌযানসহ স্থলভাগে সব যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, দ্বীপের বেশির ভাগ মানুষ পর্যটন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। ছেঁড়াদ্বীপে ভ্রমণে গেলে দ্বীপের ক্ষতি আমরা কিছুই দেখছি না। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

দ্বীপবাসীর দাবি মেনে না নিলে প্রয়োজনে আরও বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে। যোগ করে নুর মোহাম্মদ।

গত ২ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তর ১৪ দফা নির্দেশনা সম্বলিত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এবং তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রচার করা হয়। ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশবিরোধী আচরণের কারণে সেন্ট মার্টিনের বিরল প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

দ্বীপটি রক্ষায় কিছু বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যানসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন না চালানো, সৈকত, সমুদ্র ও নাফ নদীতে প্লাস্টিক বা কোনো ধরনের বর্জ্য না ফেলা, দ্বীপের চারপাশে নৌভ্রমণ না করা, জোয়ার-ভাটা এলাকার পাথরের ওপর দিয়ে না হাঁটা, সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা, রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে ছবি না তোলা, সৈকতে রাতে কোনো ধরনের আলো বা আগুন না জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুস না ওড়ানো, মাইক না বাজানো, হইচই ও উচ্চৈঃস্বরে গান-বাজনা কিংবা বারবিকিউ পার্টি না করা, সরকারের অধিগ্রহণ করা ছেঁড়াদ্বীপে না যাওয়া, জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস বা অন্য কোনো খাবার না খাওয়ানো ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
এসবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।