ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

কচ্ছপ দ্বীপ!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৫
কচ্ছপ দ্বীপ!

ঢাকা: কিছুদিনের জন্য বেড়ানো বা গা-ঢাকা দিতে দ্বীপ জায়গাটা মন্দ নয়! স্থলের জমিনে শুয়ে জলের গান শুনতে অনেকেই পাড়ি জমান দূরদ্বীপে। আর দ্বীপ ভ্রমণের জন্য বসন্ত ঋতুটা সবচেয়ে ভালো।



ভ্রমণের স্বাদ নিতেই প্রতি বসন্তে দক্ষিণ-পূর্ব চীনের ম্যুডেওক্সি নদীতে পাড়ি জমান অনেক পর্যটক। কিন্তু কেন?

এখানে এমন একটি ছোট্ট দ্বীপ রয়েছে যেটি ইতোমধ্যেই পর্যটন এলাকা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। দ্বীপটির বিশেষত্ব হলো এটি দেখতে অনেকটা কচ্ছপের মতো। দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন এক বড়সড় কচ্ছপ জলের ভেতর থেকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে!

ম্যুডেওক্সি নদীটি ইয়াংইয়াং বিভাগের চংকিং শহরের লংসি গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গিয়েছে। নদীর ঠিক মাঝখানেই স্বগর্বে দাঁড়িয়ে কচ্ছপাকৃতির এই দ্বীপটি।

দ্বীপটিকে স্থানীয়রা ‘বসন্তে কচ্ছপের জল জাগরণ’ বলেই আখ্যায়িত করতে ভালোবাসেন।



কচ্ছপ চাইনিজদের কাছে ইতিবাচক একটি রূপ। চায়নিজরা মনে করেন কচ্ছপ দীর্ঘায়ুর বাহক ও তাদের জন্য সুদিন বয়ে আনে।

তবে এই দ্বীপটিকে কচ্ছপের মতো দেখানোর সঙ্গে স্রোতের উচ্চতার সম্পর্ক রয়েছে। যখন নদীর পানি প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ ফুট থেকে ৫৫১ ফুটের মধ্যে থাকে কেবল তখনই পূর্ণ কচ্ছপের মতো দেখায়। ম্যুডেওক্সি নদীটি থ্রি গর্জেস জলাধারের মধ্যে অবস্থিত। গর্জেস একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ যা ইলিং জেলায় স্যান্ডোপিং শহরে অবস্থিত। তাই ম্যুডেওক্সির পানির স্রোতের উচ্চতা এই বাঁধের ওপর নির্ভর করে।



দ্বীপটি সম্পর্কে স্থানীয় মুখপাত্র মেং লিউ জানান, এই দ্বীপটি ভ্রমণের জন্য সবাই বসন্ত ঋতুকেই বেছে নেন। আমরা বসন্ত এলেই বলি কচ্ছপ আসছে!

ম্যুডেওক্সি নদীর স্বাভাবিক গভীরতা প্রায় ৫৭৪ ফুট। স্বাভাবিক অবস্থায় দ্বীপটির শুধু ওপরের অংশটাই দেখা যায়। তবে পানি নেমে যখন সাড়ে চারশ‘ ফুট হয় তখন এর সঙ্গে সংযুক্ত পাথুরে অংশটাকে দেখা যায়। যে অংশটা কচ্ছপের মাথার মতো।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।