ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

৩ হাজার কিমি দূরের বাজারে ‘কাশ্মীরি বরই’

মাসুক হৃদয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
৩ হাজার কিমি দূরের বাজারে ‘কাশ্মীরি বরই’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতলা থেকে ফিরে: ‘কাশ্মীর’ শব্দটি মুখে এলে এর সঙ্গে মুদ্রার ওপিঠের মতো দু’টি জিনিস চলে আসে। একটি হলো শাল, অন্যটি আপেল।



শুধু ভারতে নয়, কাশ্মীরি আপেলের বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে নানান দেশে। এছাড়া সেখানকার তৈরি শালও আরামদায়ক গরম কাপড় হিসেবে সারা বিশ্বে সমাদৃত।

কিন্তু কাশ্মীরি আপেল ও শালের পাশাপাশি সেখানকার ‘বরই’ও যে এখন বিখ্যাত হয়ে উঠছে, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে বরই আবার কুল নামে পরিচিত। সে যাই হোক, কাশ্মীর থেকে সড়ক পথে প্রায় তিন হাজার ২শ ৮৩ কিলোমিটার দূরে, ত্রিপুরার রাজধানী ‍আগরতলার বাজারেও সম্প্রতি ঠাঁই করে নিয়েছে এই বরই। আকারে অনেক ছোট (প্রায় এক সেন্টিমিটার) কাশ্মীরি বরই খেতে খুব মিষ্টি।

আগরতলা শহরের সর্বত্র এখন এর উপস্থিতি। ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকার ফুটপাত, শপিং মলের সামনে, বাস টার্মিনাল, কাঁচাবাজার, পাড়ার মোড়- সবখানেই মিলছে কাশ্মীরি বরই।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বরইয়ের আকারের কারণেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এর স্বাদও মিষ্টি তাই অল্পদিনেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া ফলটির ওপরের খোসা পুরু হওয়ায় অনেক দিন পর্যন্ত মজুদ রাখা যায়।

কাশ্মীর ঘুরে আসা স্থানীয়রা জানান, কাশ্মীরে বাণিজ্যিকভাবে এ বরই চাষ করা হয়। সেখানকার একটি অঞ্চলের নামই ‘কুলগাঁও’। কুলগাঁওয়ের চাষিরা এসব কুল বা বরই রোদে শুকানোর পর তা ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পাঠান। কাঁচার চেয়ে শুকনো বরইয়ের জনপ্রিয়তাই বেশি।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে আগরতলা শহরের সূর্য চৌমুহনীতে কথা হয় ফেরিওয়ালা রূপক সাহার সঙ্গে।

ভ্যানগাড়িতে ফেরি করে বরই বিক্রি করেন রূপক। বলেন, আগরতলায় কাশ্মীরি বরই নতুন এসেছে। তবে নতুন এলেও এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই। যারা একবার কিনে খান, তারা পরবর্তীতে খুঁজে বের করে কেনেন।

রূপক শহরের পাইকারি বাজার গোলবাজার থেকে ১শ থেকে ১শ ২০ রুপি কেজি দরে কাশ্মীরি বরই কিনে থাকেন। এরপর ক্রেতা পর্যায়ে কেজি প্রতি ২শ রুপি বিক্রি করেন। প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় দেড় হাজার রুপি। তবে সবদিন সমান যায় না বলেও জানান তিনি।

বরই কিনতে আসা ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঈশিতা চৌধুরী বলেন, আগে কখনও এই বরই দেখিনি। এবছর প্রথম খেয়ে ভীষণ মজা পেয়েছি। এখন ফেরিওয়ালা সামনে পড়লেই কাশ্মীরি বরই কিনে খাই ও বাসায় নিয়ে যাই।

শহরের বটতলী এলাকায় কথা হয় আরেক বরই বিক্রেতা রণবীর রায়ের সঙ্গে।

রণবীর জানান, কাশ্মীর ত্রিপুরা থেকে অনেক দূরে। তাই সরাসরি কাশ্মীর থেকে পণ্য ত্রিপুরায় আসে না। সেখান থেকে গৌহাটি হয়ে ত্রিপুরায় আসে। ত্রিপুরা থেকে গৌহাটির দূরত্ব ২শ ৬৫ কিলোমিটার। ওখান থেকে সহজেই পণ্য ত্রিপুরায় সরবরাহ করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।