ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

পাহাড়জুড়ে সাদা মেঘের খেলা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
পাহাড়জুড়ে সাদা মেঘের খেলা! পাহাড়জুড়ে সাদা মেঘের খেলা!-বাংলানিউজ

বান্দরবান থেকে ফিরে: আকাশের পানে চেয়ে মেঘের ছোটাছুটি আমরা সবাই কম বেশি দেখেছি। কিন্তু চোখের সামনে মেঘের ছোটাছুটি দেখতে কেমন লাগবে ভাবুন তো? চারিদিকে তখন চোখ পড়বে সবুজের চাদরে মোড়ানো ছোট বড় পাহাড়ের সারি ও মেঘমুক্ত নীল আকাশ।

পাহাড়ের নিচে তাকালেই দেখা যাবে আকাশের মেঘ পাহাড়ের একটু নিচে একই সঙ্গে দেখা মিলবে পাহাড় জুড়ে সাদা মেঘের ছোটাছুটি।

 
সাদা মেঘগুলো যেনো সমস্ত পাহাড় জুড়ে এক অপরূপ খেলায় মেতে উঠেছে।

আবার মাঝে মধ্যে মেঘগুলো গা ছুঁয়ে চলে যায় দিগন্তের দিকে।

উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে থেকে মেঘদের এমন দৃশ্য স্মৃতির ক্যামেরায় বন্দি করতে চাইলে ঘুরে আসতে হবে বাংলাদেশের অন্যতম উঁচু পাহাড়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমাহার নীলগিরিতে। পাহাড়জুড়ে সাদা মেঘের খেলা!-বাংলানিউজ
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রটি বান্দরবানের থানচি উপজেলায় অবস্থিত। প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এ পর্যটন স্থানটি বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্র।
 
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রটি সমতল ভূমি থেকে ৩ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সবুজে ঢাকা পাহাড় সারি ও সাদা মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখতে প্রায় সারা বছরই নীলগিরিতে ছুটে আসে পর্যটকরা।

সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও মেঘের খেলা দেখার সময় হলো বর্ষাকাল। এই সময়টাতে পর্যটকরা খুব সহজেই মেঘের খেলা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া মেঘের কমল ছোঁয়ায় পুলকিত হয়ে উঠবে আপনার মন। পাহাড়জুড়ে সাদা মেঘের খেলা!-বাংলানিউজ
নীলগিরিতে ঘুরতে আসা কয়েকজন পর্যটকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষাকালে এখানে আসতে কিছুটা কষ্ট হলেও সবুজ পাহাড়, মেঘের ছোটাছুটি ও মেঘের কমল স্পর্শ পাওয়ায় সব কষ্ট দূর হয়ে যায়।

তাই পাহাড় ও মেঘপ্রেমীরা সব বাধা পেরিয়ে এসেছেন প্রকৃতির কোলে।
 
সিলেট থেকে নীলগিরিতে পাহাড় ও মেঘের খেলা দেখতে এসে মো. আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে আসতে একটু কষ্ট হলেও এসে খুব ভালো লেগেছে। শীতকালে সাদা মেঘ এতো কাছ থেকে দেখা যায় না। এখন তো সাদা মেঘ গাঁ ছুঁয়ে শিহরণ জাগাচ্ছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
 
তবে নীলগিরিতে পৌঁছানোর আগেও প্রকৃতি প্রেমীদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে পারে বান্দরবনের উঁচু-নিচু পাহাড়ি রাস্তা। বান্দরবান সদর উপজেলা থেকে নীলগিরি পর্যন্ত পুরো রাস্তাই পাহাড়ের উপরে। কখনো খাড়া উঁচু, কখনো নিচু হয়ে, কখনো বা আঁকাবাঁকা হয়ে রাস্তা চলে গেছে নীলগিরির গন্তব্যে। এ রাস্তা একেবারেই পাহাড়ের গা ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে। পাহাড়জুড়ে সাদা মেঘের খেলা!-বাংলানিউজরাস্তা থেকে অনেক নিচে অবস্থিত ছোট পাহাড়, নদী কিংবা ছোট ছোট বাড়ি দেখে মন আনন্দে ভরে উঠতে পারে। এ ছাড়া শৈলপ্রপাত বা চিম্বুক পাহাড়ের মতো দর্শনীয় স্থানগুলো পথেই চোখে পড়বে।
 
পর্যটকদের নীলগিরিতে যেতে হলে চট্টগ্রাম থেকে বাসে আসতে হবে বান্দরবান। বান্দরবান থেকে নীলগিরির দূরত্ব ৪৮ কিলোমিটার।

বান্দরবান থেকে নীলগিরি পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় দুই ঘণ্টা।
 
নীলগিরিতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা। পর্যটন কেন্দ্রটিকে ঘিরে গড়ে উঠছে নীলগিরি হিল রিসোর্ট। এ রিসোর্টে পর্যটকরা ভাড়া নিয়েও থাকতে পারবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এমএ/আরআইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।