ত্রিপুরা থেকে ফিরে: দক্ষিণ ত্রিপুরার সর্বদক্ষিণের মহকুমা সাব্রুম। ফেনী নদীর উত্তরে সাব্রুম আর দক্ষিণে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়।
শান্ত শহর সাব্রুম। এখানে খুব বেশি ব্যস্ততা নেই। জনসংখ্যার ঘনত্বও কম। স্থানীয়দের মতে, এই জনসংখ্যা ১০ হাজারের বেশি নয়। ফেনী নদীর এই পাড় থেকে ঢিল ছুঁড়লে বাংলাদেশে গিয়ে পড়ে।
এই শীতে কোথাও কোথাও নদী শুকিয়ে স্থলপথ হয়ে গেছে।
সাব্রুমের বাসিন্দারা বাংলাদেশের নোয়াখালী ভাষায় কথা বলে। এখানকার উল্লেখযোগ্য মানুষেরই আদিবাস নোয়খালী, কুমিল্লা, ফেনী অঞ্চলে। বাংলাদেশের বাড়ি নোয়াখালী হলে, সাব্রুমে আলাদা নজর পাওয়া যায়।
সাব্রুমের মানুষের আন্তরিকতায় প্রাণ ভরে যায়। এটা বাংলাদেশের বাঙালিদের মতোই। অতিথি আপ্যায়নে তারা একসঙ্গে তিনটি মিষ্টি খেতে দেন। আর বাড়ি নোয়াখালী পরিচয় পাওয়ার পর দোকানদার চায়ের বিল নিতে চান না।
রাবার গাছের ভূমি সাব্রুম। শুধু বড় বড় কোম্পানি নয়, অনেকে বাড়ির পাশের বাগানকেও রাবার গাছে ভরিয়ে তুলেছে। ছোট ছোট টিলায় রাবার বাগানের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণও হয় এখানে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাব্রুমের অবদান অপরিসীম। এখান থেকেই গঠিত উঠেছিল ১নং সেক্টর। বাংলাদেশ থেকে বাস্তুহারা মানুষ এখানে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
প্রতি বছরের পয়লা বৈশাখে সাব্রুম ও রামগড়ে প্রবেশ দ্বার খুলে দেওয়া হয়। দুই দেশের মানুষ নিজেদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছে বেড়াতে যান পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই। দুই এলাকাতেই তৈরি হয় এক আনন্দঘন মুহুর্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
এমএন/পিসি