ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় কি তবে তৃণমূল জমানা শেষ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
ত্রিপুরায় কি তবে তৃণমূল জমানা শেষ! সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলা হচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস ভবন থেকে। ছবি: সুদীপ

আগরতলা:  ত্রিপুরা রাজ্য থেকে কি এবার তৃণমূল কংগ্রেস ইতিহাসের পাতায় স্থান নিতে চলেছে? প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ভবন থেকে দলীয় প্রধান মমতা ব্যানার্জির ছবি ও সাইনবোর্ড খুলে নেওয়ার ঘটনা তো সে কথাই বলছে।

৬ বিধায়কের ভোল পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী আগরতলার তুলসীবতী স্কুলের বিপরীত দিকে বিধায়ক আশিষ সাহার জমিতে গড়া তৃণমূল কংগ্রেস ভবনের ওই ছবি ও সাইনবোর্ড নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সোমবার (১০ জুলাই)। সঙ্গে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় পতাকা।

এর মাধ্যমে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস পর্বের ইতি ঘটলো বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্টকে হটানোর স্বপ্ন নিয়ে গত বছর রাজ্যের ৬ বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুল হাতে নেন।

তখন বিধায়করা তৃণমূলের স্বপ্নে এতোটাই বিভোর ছিলেন যে, বিধায়ক আশিষ সাহা নিজ জমিতে তৃণমূল কংগ্রেস ভবন তৈরি করে দেন। ঘটা করে সেই ভবন উদ্বোধন করতে কলকাতা থেকে উড়ে আসেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, সংসদ সদস্য প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়সহ কলকাতার একঝাঁক হেভিওয়েট নেতা।

তখন মুকুল রায়সহ অন্য নেতারা আশা ব্যক্ত করেন, এই ৬ বিধায়কের হাত ধরে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে বামফ্রন্টের সূর্য অস্তমিত হবে। সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলা হচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস ভবন থেকে।  ছবি: সুদীপ

পরে সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জিও আগরতলায় এসে ত্রিপুরার বিধায়কদের প্রসংশায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেন, এই বিধায়কদের হাত ধরে ত্রিপুরায় ঘাসফুল ফুটবে।

কিন্তু এক বছর হতে না হতেই মমতা ব্যানার্জি ও মুকুল রায়দের বাম বিদায়ের স্বপ্নকে হাওড়া নদীতে বিসর্জন দিয়ে সেই ৬ বিধায়ক পাড়ি জমালেন ভারতব্যাপী দ্রুত বিস্তারকারী পদ্ম শিবিরে।

গত ৬ জুলাই আসামের রাজধানী গৌহাটিতে বিজেপি মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দকে ভোট দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিজেপিতে যোগদানের রাস্তা পাকা করে এলেন তারা।

তাই রাজ্যে ফিরেই সাইনবোর্ড সর্বস্য তৃণমূল কংগ্রেসকে চিরতরে মুছে দিতে দলীয় অফিস থেকে পতাকা, মমতা ব্যানার্জির ছবি ও সাইন বোর্ড সরিয়ে ফেললেন। যদিও ত্রিপুরায় তৃণমূল ভবনের অবসান পর্বে কোনো নেতাকে দেখা যায়নি সেখানে।

দল ত্যাগী এই বিধায়কদের আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মফুল হাতে নেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
এসসিএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।