তবে তাদের জন্য ‘বাড়ির পাশে বিদেশ’ ইচ্ছাকে আর পুষে রাখতে হবে না। একটা পাসপোর্ট ও ভারত প্রবেশের ভিসা থাকলে দিয়ে আসতে পারেন আপনার বিদেশ ট্যুর।
ভারতের দ্বিতীয় ছোট অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরা। বাংলাদেশ জন্মের অনেক ইতিহাস যার বুকে স্বর্ণাখচিত। ইতিহাসে স্থান পাওয়া শহরটি দেখতে টিকিট কেটে সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠলে মাত্র দুই ঘণ্টার যাত্রা শেষে পৌঁছাবেন আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন।
আখাউড়া আন্তজার্তিক স্থল বন্দর ও ত্রিপুরা আর্ন্তজাতিক স্থল বন্দরে ইমিগ্রেশনের ঝামেলা শেষ সকাল শেষ হওয়ার আগেই বিদেশের মাটিতে পা । গোটা দু'দিনের সময় নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের সবুজের মায়ায় মুগ্ধ হবে যে কোনো পর্যটক।
রাজধানী আগরতলা ছেড়ে একটু দুরেই গেলেই সবুজের প্রশান্তি। রাজ্যের দর্শনীয় স্থাপত্যকলা, নদী,জলাশয়,বন, ছোট ছোট পাহাড় আর শহরের নিরবতা ঘুরতে আসা মানুষকে ভিন্ন স্বাদের জোগান দিবে।
ভ্রমণের যাত্রা শুরু হতে পারে আগরতলা থেকেই। পুরো রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় সকল স্থাপনাগুলোর হুবহু নকল করে আগরতলার মালঞ্চনিবাস এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে হেরিটেজ পার্ক। সবুজ গাছ-গাছালি ঘেরা নিরব এ পার্কে আধা ঘন্টা ঘুরলে দেখা হবে পুরো ত্রিপুরা রাজ্যের দর্শনীয় স্থান।
আগরতলা শহরের ভেতরেই কম খরচে অল্প সময়ে তিনটি দর্শনীয় স্থান উজ্জয়ন্ত রাজবাড়ি, শত বছরের পুরোনো জগন্নাথ মন্দির, মা উমাশ্বরী মন্দির ঘুরে দেখা যাবে। শহরে চলতে চলতে পাওয়া যাবে ঘাপটি মেরে থাকা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি।
আগরতলা শহর থেকে ৫২ কিলোমিটারে দুরে সিপাহীজলা জেলায় অবস্থিত অন্যন্য স্থাপত্য কলার নজির নীর মহল। পানির উপর ভাসতে থাকা ত্রিপুরা রাজার এই প্রাসাদ দেখতে যেতে খরচ পরবে পাবলিক বাসে ৪০ রুপি। নৌকা রির্জাভ করে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
বিদেশে এসে কিছু কেনা হবে না তা হয় না। একটু ব্যয়বহুল হলেও বিগ বাজারের মত শপিং মল কিছু কেনাকাটা করলে আপনার বিদেশ ভ্রমণের ষোল কলা পূরণ হবে।
ঢাকা থেকে ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খরচ সিটের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ৮০ টাকা ৬০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
এমসি/বিএস