দুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সরকারের পূর্ত ও স্বাস্থ্য দফতরের মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।
পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, পূর্ত ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী ছাড়াও রাজ্যের মুখ্যসচিবসহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জিব রঞ্জনকে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক, অর্থ দফতরের প্রধান সচিব, স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক প্রমুখ।
বৈঠকে বন্যাদুর্গত মানুষ যারা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ শিবির গুলোতে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিশেষ করে শিশুদের খাবার সরবরাহের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী শিবিরের মানুষদের চিকিৎসা, খাবার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের বিষয়ে গুরুত্ব দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন। এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আগরতলা পুরনিগমকে।
আর আগরতলা শহরের হাওড়া নদী ও কাটাখালের পাড়ের বাঁধে রাত-দিন নজরদারির জন্য পুলিশের মহানির্দেশককে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ত ও স্বাস্থ্য দফতরের মন্ত্রী বাদল চৌধুরী।
সন্ধ্যায় মহাকরণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিম জেলা। পাশাপাশি খোয়াই জেলা ও সিপাহীজলা জেলায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার জন্য মোট ৬৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
‘এরমধ্যে পশ্চিম জেলায় ৫৩টি শিবির খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় শিবিরে ৯ হাজার ৬৫৮টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ’
তবে রাজ্যের নদীগুলোর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে বইছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এসসিএন/এমএ