ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলায় বামফ্রন্ট সমর্থীত জিএমপি’র উদ্যোগে সমাবেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
আগরতলায় বামফ্রন্ট সমর্থীত জিএমপি’র উদ্যোগে সমাবেশ আগরতলায় বামফ্রন্ট সমর্থীত জিএমপি’র উদ্যোগে সমাবেশ

আগরতলা: বামফ্রন্টের সহযোগী আদিবাসী ভিত্তিক সংগঠন ত্রিপুরা গণমুক্তি পরিষদ'র (জিএমপি) উদ্যোগে আগরতলায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আস্তাবল ময়দানে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রাধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) দলের পলিটব্যুরো সদস্য তথা ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী তার দীর্ঘ বক্তৃতায় বলেন, এমনিতেই ত্রিপুরা রাজ্য ক্ষুদ্র, জনসংখ্যা মাত্র ৩৭ লাখ। এই রাজ্যকে ভেঙে তুইপ্রাল্যান্ড নামে আলাদা আরো একটি রাজ্য গঠন করতে চায়। এই দাবি কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। ত্রিপুরা রাজ্যের আদিবাসী অংশের মানুষ যথেষ্ট ভালো রয়েছেন। দেশের অন্যান্য আদিবাসী জনবহুল ও আদিবাসীদের দ্বারা পরিচালিত রাজ্যের তোলনায় ত্রিপুরা রাজ্যের আদিবাসী অংশের মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত। অন্য রাজ্য থেকে জনপ্রতিনিধিরা ত্রিপুরায় এসে ভালভাবে প্রশাসন পরিচালনার বিষয়ে অবগত হয়ে যায় এবং ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের প্রসংশা করেন।
আগরতলায় বামফ্রন্ট সমর্থীত জিএমপি’র উদ্যোগে সমাবেশ
ভারতের বর্তমান বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সরকারের শাসনাধীন সাড়ে ৩ বছরে দেশে বেকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মানুষ কাজ হারিয়েছে। এই সরকার দেশর দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য কিছু করেনি। দেশের ধনী-বিত্তশালী ও করপোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে।

এদিকে বৃষ্টির কারণে সমাবেশস্থল প্রায় ফাঁকা হয়ে যাওয়ার পরও তিনি তার বক্তৃতা চালিয়ে যান।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- জিএমপি’র সভাপতি তথা সংসদ সদস্য জীতেন্দ্র চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তথা এডিসি’র মুখ্যকার্য নির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

এদিনের সমাবেশে রাজ্যের আট জেলা থেকেই সংগঠনের সদস্য সদস্যারা উপস্থিত হয়ে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এসসিএন/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।