ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ব্রহ্মপুত্রের পানি সরিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করছে চীন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৭
ব্রহ্মপুত্রের পানি সরিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করছে চীন আগরতলায় সংবাদ সম্মেলনে অসম রাজ্যের অর্থ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা; ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বণ্টন ও প্রবাহ বিষয়ে চলতি ২০১৭ সাল থেকেই ভারতকে কোনো ধরনের তথ্য প্রদান করা থেকে বিরত রয়েছে চীন। এর ফলে ভারতের অরুণাচল ও  অসম রাজ্য ছাড়াও প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ পানিস্বল্পতার পাশাপাশি আকস্মিক বন্যাসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।

এই অভিমত অসম রাজ্যের অর্থ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দফতরের মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার। দুদিনের ত্রিপুরা সফরকালে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিমত তুলে ধরেন তিনি।

তিনি জানান, উজানের দেশ চীন থেকেই ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ভারত ও বাংলাদেশে আসে। অভিযোগ উঠছে, তিব্বতে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ (টানেল) নির্মাণ করে ব্রহ্মপুত্র নদের পানির স্বাভাবিক প্রাকৃতিক গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে চীন তা অন্য প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ভারত ও বাংলাদেশ ব্রহ্মপুত্র নদের পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে চীন অসময়ে পানি ছেড়ে দিয়ে আকস্মিক বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

চীন অবশ্য টানেল নির্মাণ করে ব্রহ্মপুত্রের পানি দেশটির অন্য প্রান্তে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করছে।

সেই সঙ্গে মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা আরো জানান, চলতি বছর কিছুদিন পরপর বৃষ্টি ছাড়াই অসমের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিচ্ছিল। প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল, হয়তোবা কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধার থেকে পানি ছাড়ার কারণেই এমন আকস্মিক বন্যা। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জলাধার থেকে পানি ছাড়া হয়নি, এমনি অসমের পাশের অরুণাচল রাজ্যেও আহামরি তেমন বৃষ্টি হয়নি। তার পরও ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানির স্তর বৃদ্ধি পায় এবং ঘন ঘন বন্যার সৃষ্টি হয়।

এই বিষয়ে বিশেজ্ঞদের অভিমত, চীন ভারতের বিরুদ্ধে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিকে ‘ওয়াটার বোম’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এরই পরীক্ষা মূলক ব্যবহার হিসেবে তারা পানি ছেড়ে মাঝেমাঝে অসমে অকাল বন্যার সৃষ্টি করছে।

তাই অসম সরকারের তরফে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে, চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হোক, যাতে তারা নিয়মিতভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বন্টনের/ প্রবাহের তথ্য ভারতকে প্রদান করে।

ভারত স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে তাই উপগ্রহের মাধ্যমেও এই তথ্য বের করা সম্ভব যে, চীন টানেল নির্মাণ করেনি বলে যে দাবি করছে তা কতটুকু সত্য বা মিথ্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
এসসিএন/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।