এদিন সকাল থেকে নানা বয়েসি ছেলে-মেয়ে, নারী-পুরুষ যোগ দেন রঙের এই উৎসবে। লাল, নীল, হলুদ, সাদা, সবুজ নানা রঙের আবির নিয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে তুলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সব বয়েসি মানুষ।
কেউ কেউ দল বেঁধে রঙের প্যাকেট নিয়ে পাড়ার রাস্তায় নেমে পড়েন। যাকে সামনে পাচ্ছেন তাকেই রঙে রাঙিয়ে দেন। আবার কেউ পরিকল্পনা করে কোনো একটি জায়গায় নিজেরা মিলে রঙ খেলায় মেতে ওঠেন।
দিনভর ছিল এই রঙ উৎসব। প্রথমে রঙ খেলা তারপর সকলে মিলে হৈ হুল্লোড় করে আনন্দে যুক্ত হয় খাওয়া-ধাওয়া। এদিন সব চেয়ে লক্ষ্যণীয় ছিল ছোট ছোট শিশুসহ কিশোর কিশোরীদের রং খেলা।
তারা আবির, পিচকারিসহ রঙ খেলার সামগ্রী নিয়ে নেমে পড়েছেন খেলায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রঙ খেলাকে ঘিরে উন্মাদনার মাত্রা বাড়তে থাকে। এই খেলা চলবে রাত পর্যন্ত। আবার কেউ কেউ এই খেলা চালিয়ে যাবেন টানা দু’তিন দিন ধরে।
অনেকে আবার রঙ খেলে তা সেলফি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দূর প্রান্তে থাকা বন্ধুদের পাঠাচ্ছেন তা দেখার জন্য।
এদিকে রঙ খেলা আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছেন নিজেদের ঘর-বাড়ি পরিবার-পরিজন ছেড়ে দূর প্রান্তের সীমান্তে প্রহরারত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী (বিএসএফ) বাহিনীর জওয়ানরাও।
এদিন আগরতলার পার্শবর্তী আখাউড়া সীমান্তের ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে কর্তব্যরত জওয়ানরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। সেই সঙ্গে ঢোল বাজিয়ে চলে গান বাজনাও।
রঙ খেলার পাশাপাশি একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পরিবার ছেড়ে দূর প্রান্তে থাকার বেদনা ভুলেন বলেই জানালেন জওয়ানদের কেউ কেউ।
রঙ খেলার উন্মাদনায় যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য ত্রিপুরা পুলিশ বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে। বিভিন্ন এলাকায় বসানো হয় পুলিশের বিশেষ টিম।
তারা নজরদারি বাড়ান রাস্তায় চলাচলকারী অতিদ্রুতগামী বাইকে চালকদের ওপর। পুলিশের বিশেষ তল্লাশির কারণে এখন পর্যন্ত রাজ্যে দুর্ঘটনা বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এসসিএন/এমএ